আশঙ্কাটা আগেই ছিল। মালদার কালিয়াচকে অস্ত্র তৈরির শিল্প গড়ে উঠেছে বলে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল বাংলায়। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে এবার একেবারে পুকুর থেকে উদ্ধার হল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। কিন্তু পুকুরের নীচে কীভাবে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এল? স্থানীয় সূত্রে খবর মালদার কালিয়াচকের ওই পুুকুরের নীচে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে এলাকায় অনেকেই সন্দেহ করছিলেন। এনিয়ে পুলিশের কাছেও নালিশ করেছিলেন বাসিন্দারা। এক দুষ্কৃতীকে জেরা করেও পুলিশ কিছুটা আঁচ করছিল। এরপরই ওই পুকুরেও পুলিশ তল্লাশি চালায়। আর সেই পুকুরে তল্লাশি চালাতেই পুলিশের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
সেই পুকুরে কার্যত আস্ত অস্ত্র কারখানা। অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছিল পুকুরের মধ্যে। পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করেছে। এদিকে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পুকুরের নীচে এই অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম গেল। বাসিন্দাদের অভিযোগ,এলাকায় বেআইনী অস্ত্র তৈরি হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছিল। এদিকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বেআইনী অস্ত্র উদ্ধারের উপর জোর দিচ্ছিলেন। সেকারণেই সম্ভবত অস্ত্র কারখানা থেকে সরঞ্জামগুলি পুকুরে ফেলে দেওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই মতোই ওই পুকুরে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। লোহার তৈরি লেদ জাতীয় যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে পুকুর থেকে। এদিকে এই ঘটনায় কারা জড়িত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নতুন বেগুনটোলা এলাকার ওই পানা পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। আসলে কিছুদিন আগে আনারুল শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাকে জেরা করেই ওই পুকুরের সন্ধান পায় পুলিশ। বাসিন্দারাও পুলিশকে ওই পুকুরে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে জানিয়েছিল। তবে আনারুলের স্ত্রীর দাবি, সাত বছর আগে স্বামী এসব করত। তখনই ওগুলো পুকুরে আমিই ফেলে দিয়েছিলাম। এসব আজকের নয়।