করোনাভাইরাসের জেরে পিছিয়ে যেতে পারে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে বিধানসভা ভোটের পরে পরীক্ষা হতে পারে। নিউজ ১৮ বাংলার একটি প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছরের মাধ্যমিক কবে হবে এবং সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি স্কুলশিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিকচন্দ্র মান্না এবং সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। সেই বৈঠকে স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে নির্দিষ্টভাবে সময়সীমা বা পাঠ্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
তবে নির্দিষ্ট সময় মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণ উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। সেগুলি হল -
১) কতটা পাঠ্যক্রমের উপর ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদিও ইতিমধ্যে সিবিএসই এবং সিআইএসসিই বোর্ডের তরফে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সংশোধিত পাঠ্যক্রমের বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।
২) পাঠ্যক্রম সংশোধিত হলে প্রস্তুতির জন্য পড়ুয়াদের ন্যূনতম সময় দিতে হবে। সেজন্য কমপক্ষে পাঁচ-ছ'মাস প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। সেক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা আয়োজন হলে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না।
৩) চলতি বছর জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে দশম শ্রেণির ৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম পূর্ণ হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে অনেক স্কুলে সেটাও হয়নি। তাই এত কম পাঠ্যক্রমের (অনলাইনে ক্লাস হলেও) উপর ভিত্তি করে কীভাবে মাধ্যমিক নেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
৫) মাধ্যমিক পরীক্ষার ন্যূনতম ৬০ দিন আগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কবে টেস্ট পরীক্ষা হবে, তাও স্পষ্ট নয়।
৬) স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মোট এক কোটিরও বেশি প্রশ্নপত্র ছাপাতে হয়। সেই প্রক্রিয়ার জন্য তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির আগে হাতে আপাতত চার মাস মতো পড়ে আছে। কিন্তু এখনও পাঠ্যক্রম চূড়ান্ত হয়নি। ফলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষার বিষয়টি কার্যত অসম্ভব হয়ে ঠেকছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা না হলে তা বিধানসভা ভোটের পর হতে পারে। এমনিতে এপ্রিল-মে'তে ভোট হয়। মে'র দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত সরকারের মন্ত্রীরা শপথ নিয়ে নেন। তারপরই মাধ্যমিক পরীক্ষা হতে পারে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর খবর সূত্রে খবর। বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক চন্দ্র মান্না ও সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার কোনও মন্তব্য করেননি।