বারবার অভিযোগ উঠেছে বাংলা থেকে ১৬ জন বিজেপি সাংসদ থাকলেও এই রাজ্যের উন্নয়নে তাঁরা সামিল হচ্ছেন না। বরং বাংলাকে বঞ্চনা করতে বারবার চিঠি লিখে প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়েছেন তাঁরা। তবে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বছর ঘুরলেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা এবং উদ্যোগ রাজ্যে বাস্তবায়িত করতে চান বিজেপি সাংসদরা। এই বিষয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। সেই চিঠিতে জানালেন একগুচ্ছ আবেদন।
এদিকে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের উন্নয়নের কাজ চলছে। সামাজিক প্রকল্প থেকে রাস্তাঘাট, আলো, জল—সব পরিষেবা দিতে ব্যাপক উদ্যমে কাজ চলছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। এই ইস্যুতে রোজ ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি সভা থেকে সোচ্চার হচ্ছেন। আর এমন আবহে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্বোধন করলেন ‘আদরনীয়া দিদি’ বলে চিঠিতে লিখে।
ঠিক কী লিখেছেন সুভাষ? এই চিঠি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিয়ে যে কাজ হয়েছে সেটা উল্লেখ করেছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য। সেই টাকা থেকে নতুন বিল্ডিং হয়েছে। আমার আবেদন আপনার কাছে, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরো সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি প্রভৃতি পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করুন।’ মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পেয়েছেন। তবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য তিনি রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে কাজ করবেন। বাংলার মানুষের যাতে উপকার হয় তার জন্য তিনি সবকিছু করতে রাজি আছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ১৩ দফা আবেদনের মধ্যে রয়েছে— ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত গ্রুপ–সি এবং ডি কর্মী নিয়োগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক–সহ অন্তত ২০ জন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ করার আবেদন করেছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup