একবিংশ শতাব্দিতেও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার চৌতপুর-বেলতলা এলাকা। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামের ছয়জনকে মানুষের মল খাওয়ানো হয়েছিল। আর এবার সাধুবাবার নিদানে জুতো মুখে নিয়ে বট গাছের তলা ঘোরানো হল যুবককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুবকের জুতো মুখে নিয়ে ঘোরার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পরে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রাজু দাস। তিনি মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের ভোলানাথপুরের বাসিন্দা। তিনি সবজি বিক্রি করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর ধরে অসুস্থ রয়েছেন রাজু। বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে তার চিকিৎসা করানোর পরেও তিনি সুস্থ হননি। শেষ পর্যন্ত বেলতলা এলাকায় ওই সাধুবারার কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সাধু বাবা পরিবারের সদস্যদের জানান, রাজুর শরীরে নাকি ভর করে রয়েছে দুই মহিলার আত্মা। একজনের নাম রাণী শেখ এবং অপরজনের নাম সুস্মিতা রায়। সেই দুজন মহিলা নাকি অপঘাতে মারা গিয়েছিল। এখন তাদের আত্মা রাজুর শরীরে ভর করে বসায় তিনি কিছুতেই সুস্থ হচ্ছেন না। পরিবারের দাবি, সাধুবাবাকে দেখানোর পর আপাতত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন রাজু।
একবিংশ শতাব্দীতে এরকম এক ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলার সম্পাদক পুষ্পক পাল জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। আমরা কুসংস্কার বন্ধ জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কুসংস্কার দূর করার জন্য প্রয়োজন আরও বেশি করে প্রচার।’ উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের ডাইনি অপবাদে সাঁওতালপাড়া গ্রামের ৬ জনকে সালিশি সভায় বেধড়ক মারধর এবং মানুষের মল খাওয়ানো হয়েছিল।