আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত 'জনগণ মন', মূলত বাংলা ভাষাতেই লেখা। খুব কম ব্যক্তিই জানেন যে জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন' ইংরেজিতেও লেখা হয়েছিল। ইংরেজিতে লেখা এই কপি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে চলেছে। কেন জানেন? এই ইংরেজি অনুবাদ স্বয়ং কবিগুরুর নিজের হাতে লেখা। ছবিটি শেয়ার করে নোবেল পুরস্কারের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি জানানো হয়েছে, এটি ইংরেজিতে লেখা জাতীয় সঙ্গীতের আসল কপি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের লেখা।
আজ, ২৫ বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করছে গোটা দেশ ঠাকুর সম্পর্কিত অনেক পোস্টও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই আবহে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন'-এর ইংরেজি অনুবাদটিও ব্যাপক ভাইরাল এই মুহূর্তে। ১৯১১ সালে রচিত 'জন গণ মন', স্বাধীনতার কয়েক বছর পরে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পেয়েছিল। আজ, ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এই রবীন্দ্র কপি দেখে প্রত্যেকের মনেই দেশপ্রেমের অনুভূতি জেগে উঠেছে।
- নোবেল কমিটির এই পোস্ট সম্পর্কে এক্স ব্যবহারকারীরা কী বলেছেন
পোস্টটি শেয়ার করার পর থেকে, এটি ৮২,০০০ এর বেশি ভিউ সংগ্রহ করেছে। শেয়ারটি আরও প্রায় ৩০০ লাইক জমা করেছে। এক্স পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় রবীন্দ্র অনুরাগীরা বিভিন্ন মন্তব্যও পোস্ট করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করে মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করছেন।
মন্তব্য করে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন- ঠাকুরের গান, কবিতা সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তিনি সবসময়ই এগিয়ে ভাবতেন। আরও একজন লিখেছেন- আমরা সবাই ছোটবেলায় জাতীয় সঙ্গীত মুখস্ত করে রেখেছিলাম এবং আজ পর্যন্ত আমরা তা ভুলতে পারিনি, এটা গুরুদেবের লেখার জাদু মাত্র। তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন যে আমি একজন ভারতীয় এবং আমি গর্বিত যে আমি সেই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। একজন আবার লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সোনার বাংলা রচনাও করেছিলেন - বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, এবং তাই তিনিই একমাত্র, যিনি দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছেন। অন্য একজন যোগ করেছেন, বাঙালি বলে গর্বিত।
- রবির হাতের লেখা দেখুন এখানে
উল্লেখ্য, সরকারি ওয়েবসাইট নো ইন্ডিয়া অনুসারে, ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের সময় প্রায় ৫২ সেকেন্ড। জাতির জাতীয় সঙ্গীত হল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত ভাষায় রচিত, বন্দে মাতরম।