রোদের তাপে পুড়ছে বাংলা। তার মধ্যেই চড়ছে রাজনীতির পারদও। এবার কেষ্টগড়ে সভা করতে আসছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন তিহাড় জেলে বন্দি তখনই বীরভূমের সিউড়িতে শুক্রবার হাইভোল্টেজ সভা করতে আসছেন অমিত শাহ। এই সভায় এসে কী বার্তা দেন অমিত শাহ সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা। মোটের উপর কয়েকটি ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত অনুব্রত মণ্ডল ও তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কেলেঙ্কারি। দ্বিতীয়ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। আর তৃণমূলের তোলা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। এসব নিয়ে কী জবাব দেন অমিত শাহ সেটাই এখন দেখার।
এর সঙ্গেই এই জেলা থেকেই বিগত দিনে হুঙ্কার ছাড়তেন কেষ্ট মণ্ডল। কিছুদিন আগেও তাকে বাঘ বলে সম্বোধন করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সেই বাঘের জেলায় আসছেন অমিত শাহ।
এদিকে অমিত শাহের সভা উপলক্ষ্যে একেবারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয় থাকবে মঞ্চতে ঘিরে। একেবারে প্রথম স্তরে থাকবেন এনএসজি কমান্ডোরা। তারপরের স্তরে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপরের স্তরে থাকবেন রাজ্য পুলিশের কর্মী আধিকারিকরা।
এদিকে এই বীরভূমেই ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। এই বীরভূমের একাধিক কেলেঙ্কারির কথা সামনে এসেছে বার বার। এখানেই হয়েছিল বগটুই কাণ্ড। আবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। বিগতদিনে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত কেষ্টর দাপটে মাথা তুলতে পারতেন না বিরোধীরা। তবে সেই কেষ্ট মণ্ডলই এখন তিহাড়ে। এবার তাঁর ফেলে যাওয়া গড়ে সভা করতে আসবেন অমিত শাহ। তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে তৃণমূল বিজেপি উভয় পক্ষই।
সিউড়ির বেনীমাধব হাইস্কুলের মাঠে সভা করবেন অমিত শাহ। থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার বেলা ১২টা ২০ নাগাদ দুর্গাপুর বিমানবন্দরে নামতে পারেন তিনি। এরপর সিউড়ির সার্কিট হাউজে দুপুরে খেয়ে সভাস্থলে যাবেন তিনি। রাতে কলকাতার নিউটাউনে দলের মিটিং। পরের দিন দক্ষিণেশ্বরে যাবেন অমিত শাহ।
তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, অমিত শাহ যে মাঠে সভা করবেন সেখানেই রবিবার সভা করার কথা রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের। বলা হচ্ছে এটা নাকি অমিত শাহের কাউন্টার সভা। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এনিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফিরহাদের দাবি আমাকে ওই দিন সময় খালি রাখার কথা বলা হয়েছে। ওখানকার নেতৃত্ব বললে আমি যাব।