দিনে দুপুরে বিড়ি ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ না হলেও ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সমস্ত টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ী যে টোটোতে যাচ্ছিলেন সেই টোটোর চালককেও মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার দুপুরে বীরভূমের চন্দ্রপুর ও রাজনগরের মাঝামাঝি জায়গায়। বিড়ি ব্যবসায়ী এবং টোটো চালক দুজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও সেখানে গুলি চলছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী নাম অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের পর বনগাঁয় খুন, গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে, এলাকায় আতঙ্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী বহরমপুরের বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সূত্রে তিনি সিউড়িতে থাকেন। প্রতিদিনকার মতোই এদিন সিউড়ি থেকে বিড়ি নিয়ে তিনি রাজনগরবাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে বিড়ি সরবরাহ করার পর বাজার থেকে এক লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। টোটোয় চেপেই তিনি যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নেই। এরপর চন্দ্রপুর এবং রাজনগরের মাঝামাঝি জায়গায় আসতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় রাস্তা ফাঁকা ছিল। বাইকে চেপে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে দুষ্কৃতীরা টোটোর থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু টোটো না থামায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। এর পর ভয় পেয়ে টোটো থামিয়ে দেন চালক।
অভিযোগ, এর পরে দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ী এবং টোটো চালকের উপর চড়াও হয়। তারা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যবসায়ী তাতে বাধা দিতে গেলেই তাঁকে পেটে এবং হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। টোটো চালক শেখ জাহিরকেও মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এরপর টোটো থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরজিৎ দে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। যে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসেছিল তাদের মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না। ফলে যদি এলাকায় কোনও সিসিটিভি থাকে তাহলে তাদের শনাক্ত করা সহজ হবে। এর পরেই এলাকায় সিসিটিভি আছে কিনা বা থাকলেও তার ফুটেছে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, টাকা লুট করার পর দুষ্কৃতীরা চন্দ্রপুর এলাকার দিকে পালিয়েছে। ঘটনায় চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত করার পাশাপাশি বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।