বেতন ও ভাতা মিলিয়ে প্রায় ৮২ হাজার টাকা পান রাজ্যের একজন বিধায়ক।এই টাকা বাড়তে পারে আরও। তবে দিন আনি দিন খাই পরিবার থেকে উঠে আসা শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির কাছে এই টাকা অনেকটাই। এত বেতনের কথা শুনে বিজেপি বিধায়কের একটাই কথা, এতটাকা খরচ করবেন কীভাবে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, কী করব এখনও ভাবতে পারছি না। মানুষের জন্য ভালো হয় এমন কিছু করব প্রথম মাইনের টাকার। তারপরেও মাইনের টাকা মানুষের কাজেই লাগাব। তাছাড়া অত টাকা তো আমাদের লাগবে না।
গাড়ি, বাড়ি, বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত রাজ্যের অন্যান্য জনপ্রতিনিধির তুলনায় নিঃসন্দেহে কিছুটা ব্যতিক্রমী তাঁর এই কথা। এমনকী এখনই গাড়িও কিনতে চাননা তিনি। স্বামীর মোটরবাইকে চেপে তিনি বিভিন্ন জায়গায় যান। তিনি যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী পেয়েছেন তাঁরা যান বিজেপি নেতা কর্মীদের বাইকে সওয়ার হয়ে। এমনটাই খবর স্থানীয় সূত্রে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, অত্য়ন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন চন্দনা বাউরি। তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনিও একটা সময় স্বামীকে সহায়তা করতে জোগাড়ের কাজ করতেন। সেই চন্দনাই এখন বিজেপি বিধায়ক। অনেকেই ভেবেছিলেন রাতারাতি বদলে যাবেন চন্দনা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতারাতি বদলে যাননি চন্দনা। এখনও তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ সরলভাবে মিশছেন। তবে এই অনাড়ম্বর জীবনের ধারাবাহিকতা কতটা বজায় থাকে সেদিকেও নজর রয়েছে অনেকের।