বছর ঘুলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অথচ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি এখনও জেলবন্দি। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের নানা ক্ষোভ-বিক্ষোভ মাথা চাড়া দিচ্ছে। কেই কেউ সমাজমাধ্যেমে বির্তকিত পোস্টও করেছেন। এই অবস্থায় দলের বাঁধনকে আঁটোসাঁটো করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকে জেলা তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্ব দিতে চলেছে দল।
সূত্রের খবর, দল চালানোর জন্য জেলার বিভিন্ন নেতার হাতে দায়িত্ব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। জেলায় দল চালাবে বীরভূম জেলা সমন্বয় কমিটি। যার আহ্বায়ক হচ্ছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। এ ছাড়া কমিটিতে থাকছেন অভিজিৎ চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ জেলার বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকবেন মলয় মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতি রবিবার দলের বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হবে। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। আহ্বায়ক হিসাবে বৈঠক ডাকবেন বিকাশ রায়চৌধুরী।
অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা কাজল শেখের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়। সেই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা।' আবার অন্য পোস্টে কাজল লেখেন, 'ধর্মের কল বাতাসে নড়ে'। পোস্টগুলিতে কারও নাম না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে তা স্পষ্ট যে তা অনুব্রতকে উদ্দেশ করে লেখা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকায় সক্রিয় কাজল শেখ। বিভিন্ন জায়গায় সংগঠন তৈরিতেও তাঁর সক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির প্রভাব যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে না পড়ে তা দেখতে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করছে তৃণমূল।
অনুব্রত পঞ্চায়েত পরামর্শ
দলের মধ্যে যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, জেলবন্দি থাকলেও তা কানে গিয়েছে অনুব্রতর। তাই ফের জেল হেফাজত হওয়ার আগে, তাঁর শেষ শুনানির দিন রায়দানের ফাঁকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। সেখানেই নির্দেশ দেন, দলে গ্রুপবাজি চলবে না। সকলকে এক হয়ে চলতে হবে। না হলে তিনি ফেরার পর সকলকে একধার থেকে ছেঁটে দেবেন। সেই নির্দেশের পর 'গ্রুপবাজি' রুখতে সক্রিয় হয় জেলা নেতৃত্ব। সে কারণেই কী শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি?