জামুড়িয়ায় বাড়ির কাছেই মাঠ থেকে উদ্ধার ১৭ বছরের কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। শনিবার রাতে ‘কাজ আছে’ বলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি আনন্দ কেশরী নামে ওই যুবক। সকালে মাঠে তাঁর দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনায় মৃতের ২ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে জামুড়িয়া থানা। তাদের মধ্যে একজন খুনের কথা কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দোকানে মুখরোচক সরবরাহ করতেন আনন্দ। শনিবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ বলেন, কয়েকটা দোকানে মাল দিতে হবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফিরে আসব। কিন্তু রাত গভীর হলেও ছেলে ঘরে না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। সারা রাত খোঁজ করেও আনন্দকে পাওয়া যায়নি। সকালে স্থানীয়রা থানার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নান্দি শ্মশান পুকুরের কাছে একটি মাঠে কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহের মাথা, বুকসহ একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর পর পরিচিতদের কাছ থেকে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে ওই মাঠে বসেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল সে।
খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে পাঠায়। এর পর আটক করা হয় মৃতের ২ বন্ধুকে। লাগাতার জেরায় তাদের একজন খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। তবে কেন কিশোরকে এভাবে খুন হতে হল তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
মৃতেরা কাকা জানিয়েছেন, আমরা জানতে পেরেছি ও দোকানে মাল দিয়ে ফেরার সময় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে ও আড্ডা দিতে বসে যায়। তার পর কী হয়েছে জানি না।