যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল হুগলির ইমামবাড়া। দুই বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে, তাঁর দেহ মিলল চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হুগলির ওই তরুণী মির্জা কাজি জাহেরা খাতুনের। তবে তা মানতে নারাজ পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনা নয়, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে রবিবার সকালে হুগলির জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তের দাবিও তোলেন তাঁরা। অবশেষে জেলাশাসকের তদন্তের আশ্বাসে, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে দুই বান্ধবীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক বান্ধবীর বাড়ি ব্যান্ডেলে আর অন্যজনের বাড়ি গরিফায় বলে জানা গিয়েছে। কে বা কারা কেনই বা তাঁকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ইমামবাড়ায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তাঁকে ডাকতে বাড়িতে আসেন তাঁর দুই বান্ধবী। এর পর জাহেরা বাড়িতে ঘুরতে যাচ্ছি বলে, ওই দুই বান্ধবীর সঙ্গে স্কুটি নিয়ে বের হন। সন্ধ্যায় তাঁর ভাই তাঁকে ফোন করলে, জাহেরা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরছেন। তার পর দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায়, তাঁর সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন পরিবারের সদস্যরা। ওদিকে রাত ৯ টা নাগাদ এক মহিলা জাহেরার বাড়িতে ফোন করে, জাহেরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে জানান।তিনি এও জানান, জাহেরাকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে ছুঁটে গিয়ে দেখেন, ততক্ষণে চিকিৎসকরা ওই যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।