বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > হাঁসখালিতে ফের নাবালিকার ওপর নির্যাতন, স্কুলের দিদিমণিদের উদ্যোগে দায়ের হল FIR

হাঁসখালিতে ফের নাবালিকার ওপর নির্যাতন, স্কুলের দিদিমণিদের উদ্যোগে দায়ের হল FIR

প্রতীকি ছবি

আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে কোনও রকমে মা-কে ডেকে আনে নাবালিকা। কিন্তু মেয়েকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। মায়ের প্রশ্নের মুখে তাঁকে সব খুলে বলে নাবালিকা। কিন্তু নবকুমারের ভয়ে থানায় যেতে পারেননি তাঁরা।

ফের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের পর মুখ বন্ধ রাখতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। আতঙ্কে থানায় যেতেই পারল না পরিবার। স্কুলের শিক্ষিকাদের উদ্যোগে শেষে দায়ের হল অভিযোগ। এবারও ঘটনাস্থল সেই নদিয়ার হাঁসখালি। এই ঘটনায় স্পষ্ট, এপ্রিলের ঘটনার পরও এতটুকু বদলায়নি সেখানকার পরিস্থিতি।

আক্রান্ত নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় নাবালিকার মা পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিলেন। রাত আটটা নাগাদ মাকে ডাকতে সেখানে যাচ্ছিল ১০ বছরের কিশোরী। অভিযোগ, তখনই তাঁকে জড়িয়ে ধরে এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের নবকুমার বিশ্বাস। নাবালিকার মুখে গামছা গুঁজে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তাকে। এর পর নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। বেশ কিছুক্ষণ পর নাবালিকাকে মুক্তি দিলেও জানিয়ে দেয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণ চলে যেতে পারে।

আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে কোনও রকমে মা-কে ডেকে আনে নাবালিকা। কিন্তু মেয়েকে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। মায়ের প্রশ্নের মুখে তাঁকে সব খুলে বলে নাবালিকা। কিন্তু নবকুমারের ভয়ে থানায় যেতে পারেননি তাঁরা। এর পর ঘটনার কথা মেয়ের স্কুলের শিক্ষিকাদের জানান তাঁর মা। শিক্ষিকারা যোগাযোগ করেন চাইল্ড লাইনে। চাইল্ড লাইনের উদ্যোগে হাঁসখালি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রশ্ন উঠছে, বার বার শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ জানাতে কেন থানায় যেতে ভয় পাচ্ছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার প্রত্যন্ত এলাকার অভিভাবকরা। এলাকাবাসীর আস্থা কি হারিয়ে ফেলেছে পুলিশ বাহিনী। গত এপ্রিলে হাঁসখালিতে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ধর্ষণের জেরে মৃত্যু হয়। অভিযোগ তার পর দেহ লুঠ করে জ্বালিয়ে দেয় অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীরা। সেই ঘটনার পর বদলি হয়েছেন রানাঘাটের পুলিশ সুপার। কিন্তু তাতেও যে তেমন কোনও কাজ হয়নি ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিই তার প্রমাণ।

 

 

বন্ধ করুন