বিরোধীরা বার বারই অভিযোগ তোলেন পুলিশ নাকি তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এনিয়ে নানা কটাক্ষ চলে পুরোদমে। তবে শান্তিপুরে ব্লক যুব তৃণমূলের যে কমিটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের নাম। এদিকে গায়ে পুলিশের উর্দি চাপিয়ে কী করে একজন কনস্টেবল তৃণমূলের যুব কমিটিতে নাম লিখিয়ে ফেললেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এভাবে যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে থেকে পুলিশ কতটা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এনিয়ে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, গত ২০ এপ্রিল এই কমিটির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ওই কনস্টেবলের নাম রয়েছে। তিনি আবার রাজ্য পুলিশের জুনিয়র কনস্টেবল। তিনি কৃষ্ণনগরে পোস্টিং রয়েছেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে তিনি কর্মরত। শান্তিপুরের আরবান্দি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনি বাসিন্দা। ঘটনার কথা জানাজানি হতে শাসকদলের অন্দরেও অস্বস্তি চরমে।
এদিকে কীভাবে কনস্টেবলের নাম তৃণমূলের সম্পাদকের তালিকায় উঠে গেল? এতদিন পুলিশ আড়ালে আবডালে রাজনীতি করে বলে অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। এবার একেবারে যুব তৃণমূলের নেতা হিসাবে নাম ঘোষণা হলে গেল পুলিশ কনস্টেবলের? এটা কেমন রাজনীতি?
তবে ওই কনস্টেবল একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৮ বছর ধরে সরকারি কর্মী হিসাবে কাজ করছি। হঠাৎ করেই শুনলাম তৃণমূলের যুব কমিটিতে আমার নাম উঠে গিয়েছে। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমার কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
তবে তৃণমূল নেতৃত্বও এনিয়ে অস্বস্তিতে। তাঁদের একাংশের মতে, ভুল করে এই ঘটনা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে বিজেপি অবশ্য় অত সহজে বিষয়টি ছাড়ছে না। রীতিমতো খোঁচা দিচ্ছেন তারা।
এদিকে অভিজ্ঞ মহলের মতে, ফোর্সের ইউনিফর্ম পরে এভাবে সরাসরি রাজনীতি করা যায় না। কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে মতামতও দেওয়া যায় না। কিন্তু নদিয়ার এই ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে এর আগে বাংলায় একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে থানার পদস্থ আধিকারিকরা রীতিমতো ইউনিফর্ম পরে রাজনৈতিক সভার মঞ্চে উপস্থিত হয়ে যান। তা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয় না। তবে এবার একেবারে তৃণমূলের কমিটিতে নাম উঠে গেল পুলিশ কনস্টেবলের। তবে যাবতীয় বিতর্ককে অবশ্য দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।