নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় এবার নাম পাওয়া গিয়েছে এক তৃণমূল কাউন্সিলরের। ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম কুহেলি ঘোষ। তিনি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর সঙ্গে কালীঘাট, নবান্নের যোগ রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাউন্সিলর ২০১৮ সালে সোনারপুর থানার অন্তর্গত চৌহাটি হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ওবিসি বি ক্যাটাগরিতে স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল সেই সময়। তবে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় নাম উঠে আসায় বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এ নিয়ে যথেষ্ট সরগরম এলাকার রাজনীতি। এই ঘটনায় তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘শুধু কাউন্সিলর নয়, মন্ত্রীর মেয়েও জড়িত। এর সঙ্গে কালীঘাট, নবান্নের যোগ রয়েছে।’ বিজেপি নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জন বৈদ্যর দাবি, ‘তৃণমূলের আমলে সবকিছুই ভুয়ো। ডাক্তার থেকে শিক্ষক এই ভুয়োদের তালিকায় সবই আছে। রক্ষকই হল ভক্ষক। গোটা রাজ্যজুড়ে শাসকদলের নেতা এবং কর্মীদের আত্মীয়দের চাকরি দেওয়া হয়েছে। তা ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আগামী দিনে বিজেপি আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।’
যদিও এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি পুরমাতা কুহেলি ঘোষ। তবে আইনি পথেই তিনি এ বিষয়ে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূলের যাদবপুর ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘কুহেলি শিক্ষিত ও ভালো মেয়ে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় নস্কর জানান, ‘কুহেলি ঘোষ আমাদের স্কুলেরই একজন শিক্ষিকা। তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি এখানে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেছেন। ভেরিফিকেশন সময় আমরা যাবতীয় তথ্য পর্ষদকে পাঠিয়েছি।’