বিজেপি শাসিত গুজরাটে ডেয়ারি শিল্পে ব্যপক উন্নতির কথা শোনা যায়। তবে সেই নিরিখে এবার এগোতে শুরু করছে বাংলাও। বাংলার নদিয়ায় এবার নয়া উদ্যোগ। বাংলার ডেয়ারির নয়া ইউনিট। বাংলার পুষ্ঠি, বাংলার সৃষ্টি। এই ক্যাচলাইনে চলে বাংলার ডেয়ারি।
বাংলার ডেয়ারি। সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে দুধের ইউনিট। বহু বাড়িতে দুধের প্রয়োজন থাকে। কিন্তু খাঁটি দুধ আর মিলছে কোথায়? পাড়ায় যে গোয়ালারা দুধ দেন তাদের দুধের একাংশে ভেজাল থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী দুধ ঘন বোঝানোর জন্য নানা ধরনের অপদ্রব্য মেশানো হয় বলেও অভিযোগ।
তবে সেই তুলনায় অনেকেই প্য়াকেটজাত দুধের উপর নির্ভর করেন। অনেকের বাড়িতেই এখন সেই পাউচ প্যাকেটে দুধ আসে। তবে বাংলার দুধ শিল্পের উন্নতির নানা সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কেন এনিয়ে বড় কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তবে এবার বাংলার ডেয়ারির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলার দুধ শিল্প। নতুন করে স্বপ্ন বোনা শুরু হয়ে গেল।
অ্যানিমাল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে ডেয়ারি প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে ৬৫.৫৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
বেঙ্গল ইন্ডেক্স সূত্রে খবর, বাংলার ডেয়ারির মাধ্যমে প্রায় ৫২,০০০ দুধব্যবসায়ী উপকৃত। চলতি আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ২৯,১৭৭ কিলোলিটার দুধ উৎপাদন করা হয়েছে। ভর্তুকি সহ যে পরিমাণ টাকা সেই দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন তার পরিমাণ প্রায় ১১৪.২৭ কোটি টাকা। দেশের মধ্য়ে দুগ্ধ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। বার্ষিক এই উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৮.৬৫ শতাংশ।
গোটা রাজ্যজুড়ে প্রায় ৫৭৮টি কাউন্টার রয়েছে বাংলার ডেয়ারির। এই যে নয়া প্ল্যান্টটি তৈরি হচ্ছে এখানে প্রতি দিন ১ লাখ লিটার দুধ প্রসেসিং করা হবে। এটাকে আগামীদিনে বাড়িয়ে প্রায় ২ লাখ লিটার প্রতিদিন এই হিসাবে করা যাবে। এই নয়া প্ল্যান্টে পাউচ প্যাকেটে দুধ ভরে বিক্রি করা হবে। সেই সঙ্গে দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য যেমন পনির, ঘি, দই, লস্সিও থাকবে।
সব মিলিয়ে দুধের জোয়ার আসতে পারে বাংলা। দুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। ভিন রাজ্য থেকে আসা দুধের উপর নির্ভর না করে সরাসরি বাংলায় তৈরি বাংলার ডেয়ারির উপর নির্ভর করেই আগামীদিনে দুধ শিল্পের জোয়ার আসতে পারে।