কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। আর তারপরই দলের তরফে সভা ডাকা হয় শ্যামনগরে, যেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সভায় হাজির থাকতে বলা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সব সাংসদ, বিধায়ক-সহ পদাধিকারীদের। সেখানেই হাজির ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি অবশ্য তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় সভা ডাকার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন।
এদিন দমদমের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায় অর্জুনের ফিরে আসা নিয়ে জানান, ‘অর্জুন সিংয়ের দলে যোগদান আনন্দের বিষয়। কিন্তু তার জন্য সভা ডাকার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সৌগতবাবু সভা উপস্থিত থাকলেও এই সভা ডাকার প্রয়োজনীয়তা যে ছিল না, সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তাঁর কথায়। যদিও পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন নিয়ে বারাকপুরের সাংসদ যে সরব হয়েছেন, তাকে সৌগতবাবু সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘অর্জুনকে ধন্যবাদ জানাই। অর্জুন পাট নিয়ে আওয়াজ তোলার পরই কেন্দ্র নমনীয় হয়েছে।’
এর আগেও দলের লাইনের বাইরে গিয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করতে দেখা গিয়েছে দমদমের সাংসদকে। সাম্প্রতিককালে নিজের এলাকায় সিন্ডিকেট রাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন সৌগতবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বখরা নিয়ে যেভাবে সংঘর্ষ হচ্ছে, সেটা নকশাল আমলেও হয়নি। শুধু একটি ঘটনাই নয়, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনাকেও যে মোটেই ভালোভাবে নেননি, সেকথাও চেপে রাখেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে একটি নারী নির্যাতনের ঘটনাও লজ্জার।’ সৌগতবাবুর এই মন্তব্যকে ঘিরে দলের মধ্যে কম বিতর্ক হয়নি। পাল্টা বিবৃতি দিতে হয়েছিল দলীয় মুখপাত্রকে। সেই নিয়ে আরেক সাংসদ শতাব্দি রায়ও সৌগত রায়ের ভিন্ন সুরে বক্তব্য রেখেছিলেন।