শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিকে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই এদিন কালো পতাকা দেখানো হয়। এমনকী গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। একেবারে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন টিএমসিপির সমর্থকরা। তবে এদিন অত্যন্ত ধীর গতিতে এই জায়গাটি পার করে রাজ্যপাল সহ অন্যান্য আধিকারিকদের গাড়ি।
আর সূত্রের খবর, মিটিংয়ে সেই গো ব্যাকের প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, অবশ্যই গো ব্যাক। দুর্নীতি গো ব্যাক। অযথা হস্তক্ষেপ গো ব্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বাধা তৈরি করে এমন সব কিছুই গো ব্যাক।
একেবারে কড়া অবস্থান রাজ্যপালের। এর আগেও তৃণমূল নেতৃত্ব যখন তাঁকে নানা ধরণের কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন রাজ্যপাল সম্পর্কে তখনও নীরব ছিলেন তিনি। কিন্তু অন্য়ভাবে কড়া অবস্থান নেন। এদিনও তিনি গো ব্যাক স্লোগান শোনার পরেও অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে বিষয়টিকে অন্যভাবে তুলে ধরেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এর আগে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁচেছিল। তার রেশ চলছে এখনও। এদিকে এই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। জেলের অন্দরে দিন কাটছে তার। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই পা দিলেন খোদ রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি নিয়ে এদিন তিনি মতামত দেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্য়ে পারস্পরিক বিনিময় যাতে হয় সেব্যাপারেও আলোকপাত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়লের পরিকাঠামোগত নানা দিক নিয়ে এদিন আলোচনা হয়। গবেষক ও অধ্যাপকদের নানা সমস্যা মেটানোর ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে। সব মিলিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে এদিন মূলত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাই এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন। হাতে প্লাকার্ড নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মিঠুন বৈশ্য বলেন, আমরা জানি তিনি সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু তিনি নির্বাচিত সরকারকে না জানিয়ে কাজ করছেন। স্বাভাবিকতভাবেই বাংলার জনগণের ক্ষোভের প্রতিফলন তো পড়বেই। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে এটা শুরু হল। আগামী দিনে যে বিশ্ববিদ্য়ালয়েই তিনি যাবেন সেখানেই এই ধরনের বিক্ষোভ হবে। ১১-১২ জন ভিসিকে নিয়ে এসে এখানে মিটিং করছেন। এতদিন ধরে সমাবর্তন হচ্ছে না। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এদিন বিক্ষোভ চলছে। তিনি যতক্ষণ মিটিং করবেন ততক্ষণ আমাদেরও প্রতিবাদ মিটিং চলবে।