এবারের দুর্গাপুজোয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব। চিনের বিলাসবহুল হোটেল গ্র্যান্ড লিসবোয়া’র আদলে এই ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। তা দেখার জন্য নদিয়া তো বটেই, বিভিন্ন জেলা এমনকী কলকাতা থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন সেখানে। এবার এই ক্লাবের পুজো কার্যত ভিড়ের দিক দিয়ে টেক্কা দিয়েছিল কলকাতাকে। ঝলমলে আলোকসজ্জা দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। লুমিয়াস ক্লাবের পুজোয় এতটাই ভিড় হয়েছিল যে কার্যত কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে দুর্গাপূজো শেষ হয়ে গেলেও লুমিনাস ক্লাবের সেই মণ্ডপ আবারও দেখা যাবে। কালীপুজোয় শিলিগুড়িতে দেখা যাবে এই মণ্ডপ।
আরও পড়ুনঃ কার্নিভালের পুজোর তালিকা প্রস্তুত, থাকছে না কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব
চিনের বিলাসবহুল হোটেল গ্র্যান্ড লিসবোয়া’র আদলে এই ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। লেজার শোয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর একটি নামি সংস্থাকে। সবমিলিয়ে এই পুজোতে খরচ হয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকা। এর আগে গত বছরেও কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজো ছিল দেখার মতো। পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনকে। পুজো কমিটির বক্তব্য, এই পুজোয় এবার ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের ভিড় হয়েছে। শুধু এবছরের নয়, গতবারের লুমিনাস ক্লাবের পুজোও ছিল দেখার মতোল। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার আদলে তৈরি করা হয়েছিল এই ক্লাবের মণ্ডপ। আর এবার চিনের নামকরা ওই হোটেলের আদলে তৈরি করা হয়েছিল লুমিনাস ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে , শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের পাশে অবস্থিত তরুণ সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে কালীপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। তার জন্য লুমিনাস ক্লাবের মণ্ডপ সেখানে নিয়ে যাচ্ছে ওই ক্লাবটি। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী বছর লুমিনাস ক্লাবের পুজোর থিম কী হবে? তাই নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই। এনিয়ে ইতিমধ্যেই লোকমুখে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আগামী বছরে এই পুজোর মণ্ডপে থিম কী হবে? সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি পুজো কমিটি। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এবারের থেকে অনেক ভালো হবে। পুজো কমিটি কর্তৃপক্ষ শিল্পের উপরে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে যে মণ্ডপে শিল্পের কাজ করা যাবে সেই ধরনের মণ্ডপ তৈরি করা হবে বলে পুজো কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।