তবে কী দীর্ঘ বৈরিতার অবসান? নাকি উপরমহল থেকে চাপ খাওয়ার পরে নেহাতই ফটোসেশন? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনা হল মঙ্গলবার একেবারে প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা বর্তমানে কোচবিহার পুরসভার কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িতে হাজির দলের জেলা সভাপতির চেয়ারে ফের আসীন পার্থ প্রতীম রায়। এদিকে কোচবিহারের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থ প্রতীম রায় উভয়ে কাকা- ভাইপো নামে পরিচিত। আর সেই কাকা ভাইপোর মধ্যে কার্যত মুখে দেখাদেখি ছিল না এতদিন। তৃণমূলে থেকেও কাকা-ভাইপোর দ্বন্দ্ব গোটা উত্তরবঙ্গেই অত্যন্ত চর্চার বিষয়। আর সেই ভাইপোই একেবারে কাকার বাড়িতে চলে গেলেন হাতে ফুল নিয়ে।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ফুলের দোকান থেকে ফুল কিনতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেই গাড়ির ভেতর বসে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখে এগিয়ে যান পার্থপ্রতীম রায়। এনিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয় দলের অন্দরে। আর মঙ্গলবার একেবারে ঘটা করে কাকার বাড়িতে হাজির হলেন ভাইপো পার্থ। পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন তিনি। এরপর সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, দ্বিতীয়বার জেলা সভাপতি হওয়ার পরে কাকার বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্তমানে কোচবিহার শহরের রাশ ফের রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাতে আসছে। তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। অন্য়দিকে জেলা সভাপতি হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে এড়িয়ে রাজনীতি করা যে কিছুটা কঠিন তা ভালোই আঁচ করতে পেরেছেন প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়। সেকারণেই কি ঝগড়ায় ইতি টানতে এত তোড়জোড়?