Modi in Krishnanagar: বাংলায় আজ মোদীর দ্বিতীয় দিন। আজ কৃষ্ণনগরে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখান থেকে ১৫ হাজার কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মোদী। এরপর সেখানে একটি দলীয় জনসভায় ভাষণ রাখেন মোদী। এই কৃষ্ণনগর থেকেই গতবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটের প্রভাব রয়েছে বেশ ভালো। এই আবহে আজ কৃষ্ণনগর থেকে সিএএ নিয়ে কোনও বার্তা প্রধানমন্ত্রী দেন কি না, সেদিকে নজর ছিল সবার। তবে সিএএ নিয়ে কিছু বললেন না মোদী। অবশ্য সন্দেশখালি এবং দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ শানান মোদী।
‘টিএমসি-র অর্থ : তু, ম্যাঁ, করাপশন হি করাপশন’
মোদী বলেন, ‘বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ হবে। তাই এবার বাংলার ৪২টি আসনের সবকটিতেই পদ্ম ফোটা উচিত। এই বার এনডিএ সরকার ৪০০ পার। এখন তো টিএমসি-র অর্থ বদলে গিয়েছে। টিএমসি-র অর্থ : তু, ম্যাঁ, করাপশন হি করাপশন।’
‘সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে TMC’
দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই তৃণমূল সরকার প্রতিটি স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে দেয়। তবে মোদীর গ্যারান্টি, আগামী ৫ বছর ফ্রি রেশন দেবে। তবে তৃণমূল তাতেও নিজেদের স্টিকার লাগায়। রেশন চুরি করতেও তারা পিছ পা হয় না।’
‘মনরেগাতে ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড’
মোদী বলেন, ‘গোটা দেশে মহিলা হেল্পলাইন চালু হয়েছে। তবে তৃণমল সরকার সেটাকে গুরুত্ব দেয় না। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ কোটি মহিলাকে সস্তায় গ্যাস দিচ্ছে। বাংলাতেও ১৩ লাখ আবেদন এসেছে। তবে তারা উজ্জ্বলা কমিটি গঠন করেনি জেলায় জেলায়। ওরা চায়, কে সস্তায় গ্যাস পাবে, সেটা ঠিক করবে তৃণমূলের তোলাবাজ। জল প্রকল্পেও ওরা তোলাবাজদের হাত চায়। মনরেগাতে ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করা হয়েছে।’
সন্দেশখালি ইস্যুতে ফের সরব মোদী
মোদী বলেন, ‘তৃণমূল এখানে মা, মাটি, মানুষের স্লোগান তুলে ভোট নিয়েছে। সন্দেশখালির বনেরা কাতর আর্তি করতে থাকেন। তবে তৃণমূল সরকার তাঁদের কথা শোনেনি। এখানে পুলিশ না তবে অপরাধী সিদ্ধান্ত নেয় যে কখন তাদের গ্রেফতার করা যাবে। রাজ্য সরকার তো সন্দেশখালির অপরাধীকে ধরতেই চায়নি। তবে বাংলার নারীরা দুর্গা রূপে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন।’
আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে কি বিজেপি জিতবে? জানুন সমীক্ষার ফল
গতকালই বাংলায় পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্চের প্রথমদিনেই বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচার শুরু করেছেন তিনি। আর প্রথমেই তিনি বেছে নিয়েছেন গতবারের হেরে যাওয়া দুই কেন্দ্রকে - আরামবাগ এবং কৃষ্ণনগর। এবারে এই দুই আসন ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি। পাওয়ারপ্লেতে মোদীর ব্যাটিং কি জেতাতে পারবে এই দুই আসনে? সমীক্ষার ফল জানতে ক্লিক করুন এখানে
কল্যাণী এইমস বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মোদী
কল্যাণী এইমস বিতর্ক নিয়ে মোদী বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই কল্যাণী এইমসের উদ্বোধন করি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেই হাসপাতাল নিয়ে সমস্যা আছে। তারা জিজ্ঞেস করছে, এই হাসপাতালের অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের তোলাবাজদের ছুট দেওয়া হয়েছে। তবে এই হাসপাতালে তাদের সমস্যা। এখানে প্রথমে কমিশন তারপর পারমিশন দেওয়া হয়।’
‘টিএমসি মানে বিশ্বাঘাত, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র’
তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন, ‘তৃণমূলের জন্য বাংলায় বিকাশ হচ্ছে না। টিএমসি মানে বিশ্বাঘাত, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র। তৃণমূল বাংলার মানুষজনকে গরিম বানিয়ে রাখতে যায়। এতে তাদের খেলা চলবে, রাজনীতি চলবে। কিন্তু মোদীর গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি।’
‘বিনিয়োগ আসবে, চাকরি হবে’
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘বিগত দুই দিনে বাংলার জনগণের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সমর্পণের সুযোগ পেয়েছি। এতে বিকাশ হবে, বিনিয়োগ আসবে, চাকরি আসবে।’
মোদীর গলায় ‘হরে কৃষ্ণ, জয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু’ ধ্বনি
হরে কৃষ্ণ, জয় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ধ্বনি তুলে বক্তৃতা শুরু মোদীর। সবাইকে বাংলায় স্বাগত জানালেন মোদী।
‘লিপস্টিকের লোভে…’, মহুয়াকে আক্রমণ সুকান্তর
বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘লিপস্টিক, সামান্য কিছু টাকার লোভে সংসদের লগইন আইডি দিয়ে দিয়েছেন। সংসদ এই সাংসদকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু ৪০ শতাংশ ভোটের অঙ্কে তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
চৈতন্যদেবের মূর্তি তুলে দেওয়া হল মোদীর হাতে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে চৈতন্যদেবের মূর্তি, রামমন্দিরের ক্ষুদ্র সংস্করণ তুলে দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হল বিজেপির সভাস্থলে।
বিজেপির জনসভায় পৌঁছলেন মোদী
‘মোদী মোদী’ স্লোগানের মধ্যে কৃষ্ণনগরে বিজেপির দলীয় সভাস্থলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খোলা জিপে করে সভাস্থলে পৌঁছে যান মোদী। সভাস্থলে আগত বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন মোদী।
‘রেল খাতে দ্বিগুণ বরাদ্দ’
মোদী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাই বাংলা পিছিয়ে গিয়েছে। তাই বিগত ১০ বছর ধরে আমাদের সরকার এখানকার রেল প্রকল্পের বিকাশের জন্য অনেক পদক্ষেপ করছে। আমরা এই রাজ্যের রেল প্রকল্পের জন্য দ্বিগুণ টাকা বরাদ্দ করছি। এটাই আমাদের ‘বিকশিত বাংলার’ স্বপ্নকে পূরণ করবে।
'১১ হাজার কোটির বিনিয়োর আসবে রাজ্যে'
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে বিকশিত রাজ্যে পরিণত করার জন্য আমরা আরও একটি পদক্ষেপ করলাম। আজ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সুযোগ মিলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুব সমাজ আরও চাকরি পাবেন। এই নতুন যুগে বিকাশের গাড়িকে ছোটাতে বিদ্যুৎ প্রয়োজনী। রেল প্রকল্প হোক, কি প্রযুক্তি… প্রয়োজন বিদ্যুতের। বিদ্যুৎ ছাড়া উপায় নেই। তাই আমি চাই, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে উঠুক। ডিভিসি-র রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলে রাজ্যে ১১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে।
সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন মোদীর
বোতামের চাপে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
কৃষ্ণনগরে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী
কৃষ্ণনগরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার। সরকারি কলেজের মাঠে নেমেছে তাঁর কপ্টার। সেখানে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতারা উপস্থিত হয়েছেন মোদীকে স্বাগত জানাতে। সরকারি কলেজের মাঠ থেকে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন মোদী। আর সেখান থেকে বিজেপির দলীয় জনসভায় যাবেন মোদী। এদিকে কৃষ্ণনগরে বিজেপির দলীয় জনসভা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বরা সেখানে ভাষণ দিচ্ছেন ইতিমধ্যেই।
১১টা নাগাদ পৌঁছবেন মোদী
৯টা ৪৮ মিনিটে কলকাতার হেলিপ্যাড থেকে উড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর হেলিকপ্টার। ১ ঘণ্টায় কৃষ্ণনগরে পৌঁছবেন মোদী।
আজকে মোদীর কর্মসূচি
আজ সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে সড়ক পথে আরসিটিসি হেলিপ্যাডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে মোদীর কনভয়। এরপর ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ আরসিটিসি হেলিপ্যাড থেকে উড়ে যাবে মোদীর হেলিকপ্টার। সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর কথা মোদীর। এরপর সাড়ে দশটা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সরকারি অনুষ্ঠানে থাকার কথা মোদীর। এরপর সকাল ১১টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থল থেকে সড়ক পথে বেরিয়ে ৫ মিনিটেই জনসভার স্থলে এসে পৌঁছনোর কথা মোদীর। সূচি অনুযায়ী ১১ টা ৫ মিনিট থেকে ১২টা পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে দলীয় সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা মোদী। এরপর ১২টা ১০ মিনিটে কৃষ্ণনগর থেকে পানাগড়ের উদ্দেশে উড়বে মোদীর হেলিকপ্টার। ১২টা ৫৫ মিনিটে পানাগড় থেকে মোদীর বিমান উড়ে যাবে বিহারে।
কৃষ্ণনগর নিয়ে জনমত সমীক্ষা...
২০০৯ থেকে এই আসনে একচেটিয়া ভাবে জিতে এসেছে তৃণমূল। ২০০৯ থেকে ২০১৯ এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তাপস পাল। আর ২০১৯ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন মহুয়া। এর আগে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত একচেটিয়া ভাবে এখানে জয়ী হয়ে এসেছে সিপিএম। তবে ১৯৯৯ সালে বিজেপির সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরে। পরে অবশ্য ২০০৪ সালে ফের বামেরা এই আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিল। তবে এবারে কী হবে? ইন্ডিয়া টুডে সিএনএক্স-এর জনমত সমীক্ষার ফল জানতে এখানে ক্লিক করুন
কৃষ্ণনগরে মতুয়া প্রভাব
কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনটিতে মতুয়া ভোটের একটা বড় প্রভাব রয়েছে। গতবার অবশ্য মহুয়া মৈত্র এই আসনে প্রায় ৬০-৭০ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। তবে এহেন মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে হয়ত তৃণমূল আবার তাঁকেই প্রার্থী করবে। এই সবের মাঝেই আবার আধার বিতর্ক, সিএএ-র মতো ইস্যু এই কেন্দ্রে কাজ করতে পারে।
কেন সিএএ নিয়ে এত টালবাহানা?
বাংলায় ভোট বৈতরণী পার করতে সিএএ বড় হাতিয়ার হতে পারে বিজেপির জন্য। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। এর আগে বিগত ৪ বছর ধরে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করেছে। কোভিডের আগে দেশ জুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আবহে আইনটি কার্যকর হলেও তা প্রয়োগ করা হয়নি। তবে লোকসভা ভোটের আগে সিএএ বড় হাতিয়ার হতে পারে বিজেপির জন্য।
সিএএ নিয়ে কে কি বলেছেন?
এর আগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছিলেন, ' ৭ দিনের মধ্যে' সিএএ কার্যকর হবে বাংলা তথা গোটা দেশে। তবে সেই ' ৭ দিন' পার হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এর মাঝে শান্তনু দাবি করেছিলেন 'ভুল করে ৭ দিনের সময়সীমা' দিয়েছিলেন তিনি। তবে দাবি করেছিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকর হবে। পরে এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠিত কনক্লেভ তেকে কেন্দ্রীয় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলাতেও শোনা গিয়েছিল এই একই সুর।
সিএএ নিয়ে তোড়জোড়
এদিকে সম্প্রতি সংবাদসংস্থা এএনআই-এর বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সিএএ নিয়ে। তাতে বলা হয়েছে, মার্চের শুরুতেই নাগরিত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবে দেশে। উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর হলে, তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেই। এবং বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় এর প্রভাব আরও বেশি করে পড়তে পারে। বিগত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব ইস্যুতেই মতুয়া ভোটের সিংহভাগ বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল। আবার সিএএ-র সঙ্গে আধার আতঙ্ক নয়া সংযোজন।
‘সিএএ কার্যকর হবেই’
এদিকে মোদীর জনসভার প্রাক্কালে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, 'এনআরসি আমরা করবই। রাম মন্দির নিয়েও অনেক কটাক্ষ হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি। আর এবার সিএএ কার্যকর হবে।'
তৃণমূলের হাতিয়ার ভোঁতা করতে বিজেপির পালটা সিএএ
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলায় আধার নিষ্ক্রিয় হওয়া নিয়ে একটা বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অনেকেই আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পেয়েছিলেন ইউআইডিএআই থেকে। সেই থেকেই সিএএ রব উঠতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের অনেকের আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ায় ময়দানে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজে। শুভেন্দু অধিকারীও এই নিয়ে অমিত শাহ এবং অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলে দাবি করেছিলেন, রাঁচির অফিসের ভুলের কারণেই এই অবস্থা। তবে তৃণমূল এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে। আর তাই তৃণমূলের হাতিয়ার ভোঁতা করতে বিজেপির পালটা হাতিয়ার সিএএ।
কৃষ্ণনগর থেকে কোন বার্তা দেবেন মোদী?
গতকাল হুগলির আরামবাগের জনসভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালি থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন তিনি। আর আজ মোদীর বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনে বিজেপির জনসভা আছে কৃষ্ণনগরে। সেখান থেকে মোদী কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর থাকবে সবার।