নকল সোনার কয়েন আসল বলে বিক্রি করার টোপ দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। যদিও টাকা লুঠ করার পর দুষ্কৃতীরা বেশিদূর পালাতে পারেনি। শেষমেষ পুলিশের জালে ধরা পড়েছে একজন। তার কাছ থেকে ওই ব্যক্তির টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক এবং দুটি কার্তুজ। ঘটনাটি বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকার।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা। তার বহু প্রাচীন কয়েন জমানোর শখ রয়েছে। সেই সূত্রেই বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার কল্যাণপুরের বাসিন্দা শেখ আশরাফুলের সঙ্গে তার কথা হয়। ওই ব্যক্তিকে আশরাফুল জানায়, তার কাছে কয়েকটি বহু প্রাচীন কয়েন রয়েছে। সেগুলি তারা বিক্রি করতে চায়। এর জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা লাগবে। ওই পরিমাণ টাকা দিলে তবেই কয়েনগুলি বিক্রি করা হবে জানায় আশরাফুল। তখন অভিযোগকারী ব্যক্তি ওই কয়েন কেনার জন্য আগ্রহী হন। পরে গতকাল সাঁইথিয়া থানা এলাকায় আশরাফুলের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু, কয়েনগুলি দেখার পরে তিনি বুঝতে পারেন যে সেগুলি নকল। এরই মধ্যে সাঁইথিয়া থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে চলে আসে। তখন আশরাফুল ওই ব্যক্তির কাছে থাকা এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পিছু ধাওয়া করে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ফেলে। ধৃতের কাছ থেকে ৩০০টি নকল সোনার কয়েন উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, একটি বন্দুক ও দু'টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের অনুমান, এদের একটি গ্যাং রয়েছে। যারা এভাবে নকল সোনার কয়েনের কারবার করে মানুষকে ঠকিয়ে বেড়ায়। ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে টাকা উদ্ধার করেছে তাতে তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দক্ষিণেশ্বরের ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘সাঁইথিয়া থানার পুলিশ সর্বতোভাবে আমাদের সাহায্য করেছে। আমাদের যে টাকা ওরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল সাঁইথিয়া থানার পুলিশ তা উদ্ধার করেছে। এর জন্য আমরা সাঁইথিয়া থানা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।’