বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Murshidabad: প্রেমের ফাঁদ পেতে ২৪ টি বিয়ে! অবশেষে পুলিশের জালে ঠগ বর, হতবাক প্রতিবেশীরা

Murshidabad: প্রেমের ফাঁদ পেতে ২৪ টি বিয়ে! অবশেষে পুলিশের জালে ঠগ বর, হতবাক প্রতিবেশীরা

বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক। প্রতীকী ছবি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের আসল বাড়ি বারাসতে। ভুয়ো আধার কার্ড ও অন্যান্য পরিচয়পত্র বানিয়ে সে নতুন নতুন এলাকায় গিয়ে কিশোরী ও তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করত। নতুন এলাকায় গেলে ওই যুবক নিজেকে অনাথ এবং গাড়ি চালক বলে দাবি করে গ্রামবাসীদের সহানুভূতি অর্জন করত।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে বিয়ে। তারপরে নতুন বউয়ের গয়না নিয়ে চম্পট দিত যুবক। এরপর নাম পরিচয় বদলে আবার অন্য জায়গায় গিয়ে প্রেমের জাল ফেলত যুবক। এরকম ভাবে কমপক্ষে ২৪টি বিয়ে করেছিল ওই ঠগ বর আশাবুল মোল্লা। অবশেষে পুলিশের জালে গ্রেফতার হল যুবক। তার কুকীর্তির কথা শুনে হতবাক প্রতিবেশীরা।

৪৩ বছরের মধ্যে বিয়ে করেছেন ৫৩বার, কিছুতেই ওটা মিলছে না, আফসোস তুঙ্গে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের আসল বাড়ি হল বারাসতে। ভুয়ো আধার কার্ড ও অন্যান্য পরিচয়পত্র বানিয়ে সে নতুন নতুন এলাকায় গিয়ে কিশোরী ও তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করত। পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত নতুন এলাকায় গেলে ওই যুবক নিজেকে অনাথ এবং গাড়ি চালক বলে দাবি করে গ্রামবাসীদের সহানুভূতি অর্জন করতো। এর পরে স্থানীয় কোমর কিশোরী বা তরুণীকে প্রেমের জালে ফেলে বিয়ে করতো। আর একবার বিয়ে হয়ে গেলেই কিছুদিন পর নতুন বউয়ের গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যেত আশাবুল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবক কোনও জায়গাতেই খুব বেশি দিন ধরে থাকত না।

তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির এক যুবতী। তার অভিযোগ ছিল, তার পরিবারের জমানো টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে স্বামী। এরপর তদন্ত নেমে পুলিশ আশাবুলের বিভিন্ন মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে। কিন্তু খুঁজে পায়নি। ভুয়ো পরিচয় পত্র থাকায় তাকে খুঁজে পেতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় পুলিশের। অবশেষে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে সাগরদিঘি থানার পুলিশ। যুবকের কাছ থেকে প্রচুর সিম, ভুয়ো নথি সহ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচার। যুবক যে এই ধরনের কাজ করে বেড়ায় তা ঘুণাক্ষরেও তার টের পাননি প্রতিবেশীরা।

বন্ধ করুন