মাথায় হেলমেট। মুখ মাস্ক। এটিমের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল তিনজন। এদিকে তাদের বাইকে নম্বরপ্লেটও নেই। দেখে কেমন যেন সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তারাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর আসে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ। আর তাদের জেরা করতেই দেখা যায় আসলে তারা কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য। অবৈধ উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াতে তারা সিদ্ধহস্ত। তিনজনেরই বাড়ি ঝাড়খন্ডের জামতাড়ায়। ধৃতদের নাম উমাচরণ গোপ, যাদব গোপ ও রাকেশ সাহা। রীতিমতো নম্বরপ্লেটহীন বাইক চেপে তারা ঘুরে বেড়াত। তারপরেও কেন তারা পুলিশের নজরে পড়েনি এনিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ৩০০ টাকা পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঠিক কীভাবে এই চক্র কাজ করে?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গ্যাসের ভর্তুকি সহ নানা ইস্যুতে এরা গ্রাহকদের ফোন করে। নানাভাবে ভুল পরিচয় দিয়ে এরা ওটিপি জেনে নেয়। এরপর গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেয় এরা। এছাড়াও ব্যাঙ্কের আধিকারিক পরিচয় দিয়েও এরা নানা সময় ফোন করে। এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাবে সহ নানাভাবে এরা গ্রাহকদের ভয় দেখায়। বিশেষত বয়স্ক মানুষদেরই এরা টার্গেট করে। এরপর ধাপে ধাপে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কাজটি করে। তবে এরা সাধারণত দুরবর্তী কোনও জায়গা থেকেই অপারেশন চালায়। এরা বীরভূমে কী করছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।