রবিবার সকাল সুন্দরবন কোস্টাল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদেরও। চলে ইটবৃষ্টি। এমনকী থানায় রাখা বাইকও চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাধেশ্যাম বৈদ্য–সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এলাকা দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গোসাবার রাধানগর তারানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। শনিবার সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা গোসাবায় সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ৪ তৃণমূল কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে রবিবার সকালে থানার সামনে প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। পুলিশ আধিকারিকরা সেই দাবি না মানলে ধৃতদের থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। তখন তৃণমূলকর্মীদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা।এর পরই থানা লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। থানায় ঢুকে তৃণমূলকর্মীরা ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ। মারধর করা হয় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাধেশ্যাম বৈদ্য–সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।