জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন ধর্মঘটের সমর্থনকারীরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধল বারাসতের কলোনি মোড় ও হেলাবটতলা মোড়ে। কয়েকজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। আটক কর্মী-সমর্থকদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘট সমর্থকরা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট সফলের জন্য বৃহ্স্পতিবার সকাল থেকেই বারাসতের বিভিন্ন প্রান্তে বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের তৎপরতা চোখে বেড়েছে। তারইমধ্যে হেলাবটতলা মোড় এবং কলোনি মোড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল থেকে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। কয়েকজন ধর্মঘট সমর্থক একটি গাড়ির উপরে উঠে যান। পুলিশ কয়েকজনকে পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘট সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন ধর্মঘট সমর্থক। একইসঙ্গে টাকি রোড ও যশোর রোডের সংযোগস্থলে চাঁপাডালি মোড়েও পথ অবরোধ করে বামেরা।
এদিকে, দুর্গাপুরেও ধর্মঘট সমর্থনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দু'নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে ধর্মঘটের সমর্থনে অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লনধ সমর্থকদের তাড়া করে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে জনা পঞ্চাশেক বাম কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।