উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় নাবালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করল পুলিশ। ১৭ বছর বয়সী সাবিনা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ১৮ বছর না-হওয়া সত্বেও তার বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। রাজারহাটের বাসিন্দা রোহিত মণ্ডলের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেই মতো শনিবার রাতে নাবালিকার দেগঙ্গার চাঁদপুর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের আসর বসেছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে পৌঁছে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
পুলিশ পৌঁছতেই আমন্ত্রিত থেকে পরিবারের লোকেরা সবাই হকচকিয়ে যান। পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে পুলিশ আসার আগেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে যান বরযাত্রীরা। এদিকে নাবালিকা পরিবারের রেহাই মিলেছে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে। নাবালিকা কন্যার বিয়ে দেওয়া যে আইনবিরুদ্ধ, তা তাঁদের জানাই ছিল না বলে সাফাই দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। মেয়ের যে বয়স ১৮ হয়নি, তাও নাকি জানা ছিল না পরিবারের সদস্যদের।
পুলিশ বিয়েবাড়িতে পৌঁছে মেয়ের বাড়ির লোকের কাছে পাত্রীর সাবালক হওয়ার প্রমাণপত্র চায়। কিন্তু সেই প্রমাণপত্রে দেখা যায়, মেয়েটির বয়স ১৭ বছর। এরপরই ওই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বলা হয়, ১৮ বছর হওয়ার আগে যেন মেয়ের বিয়ে দেওয়া না-হয়। তাতে সম্মত হন পরিবারের লোকেরা। নাবালক বয়সে বিয়ে করার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মেয়ের পরিবার ও গ্রামবাসীদের সচেতন করে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পেরে আগেভাগেই বিয়েবাড়ি থেকে সরে পড়েন বরযাত্রীরা। অপরদিকে বিয়েবাড়ির রান্না নষ্টের কথা ভেবে মাথায় হাত পড়ে সাবিনার বাড়ির সদস্যদের!