'তোলাবাজ, দাঙ্গাবাজ', এভাবেই মুকুল ঘনিষ্ঠ দুই পৌরপ্রতিনিধিকে আক্রমণ শানিয়ে পোস্টার পড়ল গাড়ুলিয়ায়। দলবদলের হিড়িকের মাঝে গাড়ুলিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপ্রতিনিধি তথা বিজেপি নেতা গৌতম বসু ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপ্রতিনিধি অশোক সিংকে জল্পনা বেড়েছে। এই দুই নেতাই নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এবং সুনীল সিং নিজে মুকুল ঘনিষ্ঠ। তাই এই মুকুল ঘনিষ্ঠদের দলে যাতে না ফেরানো হয়, সেই দাবিতে দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীরা সরব হয়েছেন।
এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল সিংদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। সেই একই কায়দায় এবার গাড়ুলিয়ার দুই পৌরপ্রতিনিধির নামে পোস্টার পড়েছে। গাড়ুলিয়া পৌরসভা সহ একাধিক স্থানে এদিন সকাল থেকে দেখা যায় অশোক সিং এবং গৌতম বসুকে নিয়ে পোস্টার। তাতে লেখা, 'তোলাবাজ-দাঙ্গাবাজ অশোক সিং এবং গৌতম বসুকে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া হবে না।' তবে এই পোস্টার কারা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। পোস্টারের নিচে লেখা, 'সমস্ত গাড়ুলিয়ার মানুষ।'
উল্লেখ্য, মুকুল রায় ফুল বদল করার পর থেকেই বেসুরো গাইতে শুরু করেন নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং। তিনি মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। এর আগে নির্বাচনের আগেই একবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধানসভায় দেখা করেছিলেন সুনীল সিং। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের আগে ফল বদল করেননি। তবে মুকুল রায়ের দলবদলে সুনীল সিংকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আর তাই তাঁর ঘনিষ্ঠ পৌর প্রতিনিধিদের দলবদলের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
এদিকে দলবদল নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা এখনও দেননি অশোক। ওদিকে সংবাদমাধ্যমকে গৌতম জানিয়েছেন, 'যারা পোস্টার দিয়েছে তারা কলেজে তৃণমূল করে আর গাড়ুলিয়াতে বিজেপি করে। তাই এবিষয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। তৃণমূল নেতৃত্ব আমার বাড়ি বসে আমায় ওঁদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে গিয়েছেন। অবশ্য, আমি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠিনি।' এদিকে এবিষয়ে গাড়ুলিয়ার পৌরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, দলের এমন কোনও দুর্দিন আসেনি যে অশোক সিং আর গৌতম বসুর বাড়ি গিয়ে তাঁদের দলে আনাতে হবে। তবে তাঁরা দুই জনেই দলে ফিরতে চান বলে শোনা গিয়েছে।