বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Lalan Sekh: ঝুলে ফাঁস লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে লালনের, ময়না তদন্তে মেলেনি খুনের প্রমাণ

Lalan Sekh: ঝুলে ফাঁস লাগার ফলেই মৃত্যু হয়েছে লালনের, ময়না তদন্তে মেলেনি খুনের প্রমাণ

লালন শেখকে খুন করা হয়নি বলে দাবি ময়না তদন্তের প্রথম রিপোর্টে।

প্রাথমিক ময়নাতদন্তে রিপোর্টে লালনকে খুনের কোনও প্রমাণ মেনেনি। তাঁর মৃতদেহ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বাইরে থেকে তাঁর দেহে কোনও আঘাত করা হয়নি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।

সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বগটুই কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। তাঁর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ এনেছে পরিবার। তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবির দাবি সিবিআই অফিসাররাই তাকে খুন করেছে। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। ঝুলে ফাঁস লাগার ফলেই লালনের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, লালনের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাথমিক ময়না তদন্তে রিপোর্টে লালনকে খুনের কোনও প্রমাণ মেনেনি। তাঁর মৃতদেহ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বাইরে থেকে তাঁর দেহে কোনও আঘাত করা হয়নি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রামপুরহাট হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ৩ টে থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত চলে লালনের দেহের ময়না তদন্ত। পুরো ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। ৪ চিকিৎসকের দল এই ময়নাতদন্ত করেন. সেই রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

লালনের পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে সিবিআই অফিসাররা জড়িত রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের বাইরে মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। প্রথমে লালনের দেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবার। পরে অবশ্য আজ বুধবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন সিবিআই ক্যাম্পের বাইরে লালনের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গতকাল রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি দাবি করেছিলেন, লালনের সারা গায়ে নীল নীল দাগ রয়েছে। তাঁর হাত ও পায়ে আঘাদের চিহ্ন রয়েছে। এমনকী জীভ কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই ধরনের কোন কিছু না পাওয়ায় তাঁর পরিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন জানাবেন কিনা সেটাই দেখার।

বন্ধ করুন