এগরায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দুর্গা প্রতিমা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ। জানানো হল, তিন বালক-বালিকা মণ্ডপের বাইরে খেলছিল। তারাই পুজোর কয়েকটি উপকরণ নিয়ে গিয়েছে। এটা হিংসা নয়।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশের তরফে একটি টুইটবার্তায় লেখা হয়, ‘গতকাল এগরা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের পুজো মণ্ডপের কাছে তিনটি শিশু (দুটি মেয়ে এবং একটি মেয়ে) খেলছিল। তাদের বয়স ১০ বা তার থেকেও কম। খেলার পর সেখান থেকে যাওয়ার সময় তারা পুজোর কয়েকটি উপকরণ নিয়ে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে সেই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা হিংসা নয়।’
এমনিতে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তারইমধ্যে শনিবার টুইটারে দিলীপ লেখেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের দুর্গাপুজো (মণ্ডপে) উন্মত্ত জনতার আক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাঁরা কি জানেন যে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের দুর্গাপুজোও একইরকম হিংসার সাক্ষী থেকেছে? ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসন সেখানে পৌঁছে প্রতিমা নিরঞ্জনের বন্দোবস্ত করেছে। তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গও বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে?’ সঙ্গে ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ফেসবুকে আরও কিছুটা সরাসরি লেখেন দিলীপ। বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর উপর দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে খুব চিন্তিত, তাঁরা কি জানেন যে খোদ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের একটি পুজোর দুর্গা প্রতিমা কিছু দুষ্কৃতী এসে ভেঙে দিয়েছে? ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজ্যের পুলিশ ও তার উচ্চ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িঘড়ি প্রতিমা বিসর্জনের (নিরঞ্জন) ব্যবস্থা করে।’