প্রজাতন্ত্র দিবসেও অব্যাহত থাকল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পতাকা উত্তোলন এবং কম্বল বিলির অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে জড়াল তৃণমূল। এর ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। শেষমেষ বন্ধ করে দেওয়া হল অনুষ্ঠান। পতাকা উত্তোলনও বন্ধ রাখতে হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের দক্ষিণ থানার ফতেপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: শ্যামনগর উৎসবেও অব্যাহত অর্জুন–সোমনাথ দ্বন্দ্ব, আমন্ত্রণ পেলেন না বিধায়ক
মূলত এদিনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আসানসোল দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমিত মাজি এবং পার্শ্ববর্তী ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রোহিত নুনিয়াকে নিয়ে। এই গ্রামে ষোলআনা কমিটি রয়েছে। সেটি তৃণমূলের সমর্থক। জানা গিয়েছে, গ্রামের সেন পরিবারের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। এই পরিবারের সদস্যরা প্রতিবছর আলাদা করে দুর্গা মন্দিরের কাছে পতাকা উত্তোলন এবং কম্বল বিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। সেই অনুষ্ঠানে রোহিত নুনিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তা নিয়ে আপত্তি জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বেশ কয়েকবার আন্দোলন করেছেন। তাদের অভিযোগ রোহিত নুনিয়া একজন প্রভাবশালী। তিনি অন্য ওয়ার্ডে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা।
অশান্তির আশঙ্কায় আগেই পুলিশ এই অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান বন্ধ না করায় আজ সকালে নিজের দলবল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন রোহিত নুনিয়া। অন্যদিকে, গ্রামের কাউন্সিলর সমিত মাজিকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। শেষে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। অন্যদিকে, গ্রামের ষোলআনা কমিটি নিজেদের ক্লাবে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করে। কিন্তু, সেখানে সমস্যা দেখা দেয়। এক পক্ষ পতাকা উত্তোলনের সময় রোহিত নুনিয়া জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দেয় অপরপক্ষ রোহিত নুনিয়া মুর্দাবাদ বলে স্লোগান দেয়। ষোলআনা কমিটির অভিযোগ, রোহিত নুনিয়া তাদের বিষয়ে নাক গালানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, সেন পরিবারের দাবি, বর্তমান কাউন্সিলর সকলের উন্নয়ন করেন না, তিনি নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর উন্নয়ন করেন।