বারাকপুরে তৃণমূলের দুই নেতা অর্জুন সিং এবং সোমনাথ শ্যামের মধ্যে দ্বন্দ্ব থামার নাম নেই। একাধিকবার তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। তা নিয়ে একে অপরের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করতেও বিরত থাকেননি দুই নেতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই নেতাকে দ্বন্দ্ব থামানোর বার্তা দিলেও বাস্তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। দুই নেতার সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। শ্যামনগর উৎসবে অর্জুন সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ডাক পেলেন না বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।
আরও পড়ুন: দলের তরফে সমঝোতার চেষ্টার মধ্যেই ফের অর্জুন সিংকে আক্রমণ সোমনাথ শ্যামের
বৃহস্পতিবার এই উৎসব শুরু হয়। এর সূচনা করেন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে চারিদিকে সংস্কৃতিক উৎসবের জোয়ার চলছে।’ সকলকে তিনি এই উৎসবে অংশগ্রহণের অনুরোধ করেন। এসেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। তবে সোমনাথ শ্যামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এপ্রসঙ্গে অর্জুন সিং জানান, তাঁকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাই তিনি এসেছেন। তার বাইরে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি জানানো হয়নি? তা তিনি বলতে পারবেন না সেটা উৎসব কমিটি বলতে পারবে। প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া পুরসভা শ্যামনগর উৎসব পরিচালনা করে থাকে। এই উৎসব কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদার। রাজনৈতিক মহলের মধ্যে সোমনাথ তালুকদার অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণেই বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অবশ্য কাউন্সিলরও জানিয়েছেন, জগদ্দলের বিধায়ককে কর্মসংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। ওকে প্রয়োজন হয় না। তাই ওকে কেন ডাকা হবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্বাভাবিকভাবেই সাংসদ বিধায়কের দ্বন্দ্ব এরফলে অন্য মাত্রা পেয়েছে।
অন্যদিকে, সোমনাথ শ্যাম জানান, এদিনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ তিনি পাননি। ব্যক্তি হিসাবে যে কেউ অনুষ্ঠান করতেই পারে সেটা তাঁকে জানাতেও পারেন আবার নাও পারেন। সেটা নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই। উল্লেখ্য, সুব্রত বক্সি দিন তিনেক আগেই অর্জুন সিং এবং সোমনাথের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে বৈঠক করেছেন। তবে সেই বৈঠকেও যোগ দেননি সোমনাথ। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি জানতেন না। দুই নেতার দ্বন্দ্ব আগামী দিনে কোন পর্যায়ে যায় সেটাই দেখার।