আজ, কোজাগরী লক্ষী পুজো। আর এদিন সকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পাঁচ ফুল ব্যবসায়ী–সহ ৬ জনের। এই পথ দুর্ঘটনার জেরে গুরুতর জখম হয়েছেন আরও চারজন। তাঁদের সকলকেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত বুড়ামালা বাজারে পথ দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একটি দাঁড়িয়ে থাকা ৪০৭ গাড়িতে ধাক্কা মারে সিমেন্ট বোঝাই লরি। আর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ জনের। আজ, শনিবার সকালে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা টোল প্লাজা থেকে ১ কিমি দূরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার সকালে বুড়ামালা বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েকজন ফুল ব্যবসায়ী একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে ফুল লোড করছিলেন। তখন পিছন দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুতগতিতে আসা একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি সজোরে ওই ফুল বোঝাই গাড়িতে ধাক্কা মারতেই ছিটকে পড়েন তাঁরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়ে রাস্তা ভেসে যায় রক্তে। ওই ফুল বোঝাই গাড়িটির কাছে থাকা অন্যান্য মারাত্মক জকম হন। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িটির চালক সহ ৬ জনের। জখম হন চারজন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? স্থানীয় এক বাসিন্দা মলয় বাগ জানান, বুড়ামালা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে গাড়িতে ফুল লোড করা হচ্ছিল। কারও কোলাঘাট যাওয়ার কথা ছিল, আবার কেউ যেতেন দেউলিয়া। তখন একটা সিমেন্টের গাড়ি এসে সজোরে ধাক্কা মারে। আর পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায় গাড়িটি। পথ দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন ফুলচাষি ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি শুরু হয়েছিল বামফ্রন্ট জমানাতেই, ইডি পেয়েছে খাদ্য দফতরের নথি
আর কী জানা যাচ্ছে? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। উত্তম কুমার বাগ নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন সামন্ত নামে একজন। উত্তম কুমার বাগ জানান, গাড়িতে ফুল তোলার সময়ই একটি সিমেন্ট গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। তারপর পাশে নয়নজুলিতে পড়ে যায়। মৃতদের পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের পরিচয় জানা চেষ্টা চলছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত।