গ্রামের বাঁধানো রাস্তার ওপর বসে রয়েছে বাঘ। ঘর থেকে বেরিয়েই পথে হাজির সুন্দরবনের মহারাজ। কেউ কেউ সাহস করে বাঘের ছবি ক্যামেরাবন্দি করল, আর কেউ কেউ দরজায় খিল দিয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে বসে ঘরে। সোমবার রাতে এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় কুলতলির ৬ নম্বর কিশোরীমোহনপুরে।
বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর গোয়ালঘরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামে সাড়া পরে যায় যে গৃহপালিত গরু ও ছাগলের ওপর হামলা চালাচ্ছে বাঘ। বুকে আতঙ্ক নিয়েই আত্মরক্ষার খাতিরে লাঠিসোটা হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের জটলায় অন্ধকারে গা–ঢাকা দেয় দক্ষিণরায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কুলতলি বিডিও অফিস ও রায়দিঘি রেঞ্জ অফিস থেকে ছুটে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে বাঘবন্দি করতে জাল ও খাঁচা নিয়ে তাঁরা গ্রামে পৌঁছোয়। ফের মঙ্গলবার সকালে গ্রামে হানা দেয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পরে গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা ধাওয়া করলে নদী সাঁতরে বাঘ ফেরে আজমলমারির জঙ্গলে।
সোমবার সারা রাত পাহারা দেন বন দফতরের কর্মীরা। রাত জাগে গোটা গ্রাম। বাঘ জঙ্গলে ফিরে গেলেও বেশ কয়েকদিন ওই এলাকায় জাল ও খাঁচা নিয়ে টহল দেবেন বনকর্মীরা, বন দফতর সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।