বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Injured Passenger: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে জখম যাত্রী, হাসপাতালের বাইরে ফেলে রেখে চলে গেল RPF

Injured Passenger: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে জখম যাত্রী, হাসপাতালের বাইরে ফেলে রেখে চলে গেল RPF

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। 

ওই ব্যক্তির নাম নারায়ণ চৌধুরী। দীর্ঘক্ষণ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে হাসপাতালের কর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে ভিতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ডাউন শিয়ালদা–ক্যানিং লোকালে করে তিনি ক্যানিংয়ে ফিরছিলেন।

চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া গুরুতর জখম এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের বাইরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই রেল পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ফেলে চলে যায় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় রেল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে। যদিও আরপিএফ এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে। আরপিএফের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম নারায়ণ চৌধুরী। দীর্ঘক্ষণ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে হাসপাতালের কর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে ভিতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ডাউন শিয়ালদা–ক্যানিং লোকালে করে তিনি ক্যানিংয়ে ফিরছিলেন। প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে তিনি ট্রেনের দরজার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘুঁটিয়ারি শরীফ স্টেশন পেরোতেই ঘটে বিপত্তি। ঘুমে চোখ লেগে যায় ওই ব্যক্তির। তখন তিনি অসাবধানতাবশত ট্রেনের দরজা থেকে নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘুঁটিয়ারি শরীফ ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভরতি করেন। তবে আঘাত গুরুতর হাওয়ায় তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালের ভিতরে না নিয়ে গিয়ে বাইরে ফেলে রেখে চলে যান আরপিএফ কর্মীরা। এমনকী প্রেসক্রিপশনও ফেলে রেখে যান বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় রেল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের রোগী সহায়ক শঙ্কু দাস জানান, গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ রোগীকে নিয়ে এসেছিলেন দুজন আরপিএফ কর্মী। তাঁরা রোগীকে হাসপাতালের বাইরে ফেলে রেখে চলে যান। কোনও কাগজপত্র নিয়ে যায়নি। চিকিৎসা করানোর কোনও ব্যবস্থা করেননি। তাঁর বক্তব্য, ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো আরপিএফের নৈতিক কর্তব্য। কিন্তু, সেটা আরপিএফ সেটা করেনি। পরে হাসপাতালে তরফেই ওই ব্যক্তির চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। যদিও এই কথা অস্বীকার করেছেন আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য, এমন ঘটনার সঙ্গে আরপিএফ জড়িত নয়। আরপিএফ থাকলে নিশ্চয়ই চিকিৎসা ব্যবস্থা করত।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন