রাজ্যপালের সফরসূচির মধ্যেই দলের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদারের মুক্তির দাবিতে ১২ ঘণ্টা সন্দেশখালি বনধ ডাকল সিপিএম। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বনধ ডেকেছে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকে বনধের আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। সঙ্গে সোমবার সকালে বসিরহাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন সিপিএম কর্মীরা।
রবিবার নাটকীয়ভাবে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেরার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার নিরাপদবাবুকে কলকাতা লাগোয়া বাঁশদ্রোণী থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। নিরাপদবাবু গেলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে বেলা ৩টে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাঁকে বসিরহাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ নিরাপদবাবুর বাঁশদ্রোণীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে হাজির হয় কয়েকজন যুবক। নিরাপদবাবুকে তাঁরা জানান, থানার বড়বাবু ডাকছেন। থানায় যাওয়ার পর অন্তত আড়াই ঘণ্টা কেন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা নিরপদবাবুকে জানানো হয়নি। বেলা ৩টে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। এর পর তাঁকে সন্দেশখালি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে পুলিশ। ওদিকে নিরাপদবাবুকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পেয়েই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। নিরাপদবাবুকে থানা থেকে বের করার সময় তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। থানা থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমকে নিরাপদবাবু বলেন, ‘আমি নির্দোষ। তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মানুষ সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে নিরাপদ সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওদিকে সোমবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। সন্দেশখালির পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবারই কলকাতা ফিরবেন বলে খবর। সিপিএমের বনধ ও রাজ্যপালের সফরকে কেন্দ্র করে সোমবারও সংবাদ শিরোনামে থাকবে সন্দেশখালি।