গোটা সন্দেশখালি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করার পর তা নিয়ে মামলা ও শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ করে দেয়। কারণ এই কাজের ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ আদালতকে। তখনই সন্দেশখালিতে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আজ, বুধবার সকালে সন্দেশখালির কয়েকটি জায়গায় নতুন করে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এবার স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল সেখানকার প্রশাসন।
এদিকে সন্দেশখালির ১৯টি পৃথক স্পর্শকাতর জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্ত সন্দেশখালিতে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এখানে নানা রাজনৈতিক দল এসে মানুষজনকে যাতে উসকাতে না পারে। এমনিতেই কয়েকদিন ধরে অশান্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি। আর এখানে কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে। তারপর সুকান্ত মজুমদারের আসা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ নামিয়ে আনা হয় বলে অভিযোগ। সিপিএম দলবল নিয়ে এখানে এসে পরিস্থিতি তপ্ত করে তোলে। এবার এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে সন্দেশখালির সাতটি পঞ্চায়েতের ১৯টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ থেকে ধামাখালি ঘাট–সহ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারার নির্দেশিকা জারি করা হয়। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত। এখানের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে— সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া। আন্দোলন শুরু হয়েছিল পাত্র পাড়া থেকে। আবার দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি পাড়ায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবতীর গোপনাঙ্গে ২৯ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট, উদ্ধার করল বিএসএফ
এছাড়া ধামাখালি ঘাট, হালদার পাড়া, পিঁপড়ে খালি ঘাট–সহ একাধিক জায়গায় নতুন করে জারি হল ১৪৪ ধারা। আর সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকের মোট ১৯ জায়গায় নতুন করে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেছিলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার আগে ভালভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা উচিত ছিল। যত্ন নিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। ১৪৪ ধারা জারি করতে হলে এলাকা নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করতে হবে। সে কথা মেনেই এবার হল ১৪৪ ধারা। আজ, বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সুতরাং সেখানে নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে পরিস্থিতি।