রাতের অন্ধকারে সোনারপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। আর তার জেরে রক্তাক্ত হলেন এক যুবক। যদিও তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। সোনারপুরের কামরাবাদ এলাকায় বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের দেহ। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল এবং দু’রাউন্ড গুলি। রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পেটে ও হাতে গুলি করা হয়েছে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে সোনারপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, চারজন বন্ধু কামরাবাদের ময়ুখ ভট্টাচার্যের বাড়িতে মাঝেমধ্যে রাতে এসে থাকত। সেখানে অন্য বন্ধুরা না আসায় শুক্রবার রাতে লাল্টু হাজরা একাই বাড়িতে ছিলেন। বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ কথা হয়। তারপর বিশ্বজিৎ রাত ২টো নাগাদ বাড়িতে এসে দেখেন ঘরে রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে লাল্টু। তিনিই তখন খবর দেন সোনারপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বন্ধুদের সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। কে বা কারা গুলি চালাল, সে বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। তাঁর হাতে ও পেটে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ রাউন্ড গুলি, গুলির খোল। বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী বলছে পরিবার? লাল্টুর ভাই পিন্টুর বক্তব্য, ‘ওর কোনও শত্রু ছিল না, বন্ধু প্রচুর ছিল। সেই বন্ধুদের মধ্যে খুব কাছের কেউ এই কাজ করেছে। পূর্ব পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়। ওর ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দাদার একটা আঙুল ভেঙে গিয়েছে। মেঝেতে কোনও রক্তের দাগ নেই, সব বিছানায়।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের সভাস্থলের কাছেই ‘শ্যুটআউট’–এর ঘটনা ঘটে।