‘চরম অভিমানে’ চোখের জল বইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন। মাসতিনেক ঘুরতে না ঘুরতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আঁচলের তলে’ জায়গা খুঁজে নেওয়ার আর্জি জানালেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা অধুনা বিজেপি নেত্রী সোনালী গুহ।
শনিবার টুইটারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সোনালী বলেন, ‘সম্মানীয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালী গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি, আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমায় ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমায় টেনে নিয়ে বাকি জীববটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।’ সেই বিবৃতির শেষে জুড়ে দেন, ‘ধন্যবাদান্তে আপনার স্নেহের সোনালী।’
এবারের বিধানসভা ভোটে সাতগাছিয়া থেকে তৃণমূলের টিকিট পাননি একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী। আক্ষেপ করে বলেছিলেন, মমতা তাঁকে একবারও জানাননি যে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। সেই ‘চরম অভিমানে’ ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন। তারপরই নিয়ে ফেলেছিলেন 'ভুল সিদ্ধান্ত'। বিজেপির হেস্টিং অফিসে গিয়ে তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া পতাকা। তাতেও অবশ্য টিকিট জোটেনি। কিন্তু রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘দিদির’ সম্পর্কে যা জানেন, তা বললে ‘বিস্ফোরণ’ হবে। শেষপর্যন্ত সেই ‘বিস্ফোরণ’ অবশ্য হয়নি। বরং গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখা বিজেপির ১০০ আসনও ছুঁতে পারেনি। বরং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর সেই ভোটের ফলাফলের পর তিন সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই তৃণমূলে ফিরতে চাইলেন সোনালী। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, একদা ছায়াসঙ্গীকে আবারও তৃণমূলে ফিরিয়ে নেবেন কি মমতা?