নিজের গ্রামে কাজ জোটেনি। বাধ্য হয়েই ভিনরাজ্যে কাজে যেতেন উত্তরদিনাজপুরের ডালখোলা থানার সুজাপুরের বাসিন্দা রবিন রায়। ৩২ বছর বয়সী ওই নির্মাণ শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করে যা পেতেন সেটা দিয়েই সংসার চালাতেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যখন যেমন কাজ পেতেন চলে যেতেন। এদিনে টানা লকডাউনের জেরে তিনি ভিনরাজ্যের সেই কাজ হারান। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন রবিন। কিন্তু নিজের রাজ্যে ফিরে আসার পরেও তাঁর কাজ জোটেনি বলে পরিবারের দাবি। নিজের গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকাতে তিনি কাজের খোঁজও করেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই তিনি কাজ জোটাতে পারেননি।
এরপরই বুধবার বিকালে তার শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ভিনরাজ্যে কাজ চলে যাওয়ায় তিনি মারাত্মক মানসিক অবসাদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। এখানেও কাজ জোটাতে পারছিলেন না। এরপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে গোটা ঘটনায় ফের এই রাজ্যের ভয়াবহ বেকারত্বের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। ডালখোলা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের ভাই প্রদীপ রায় জানিয়েছেন, দাদা ভিনরাজ্য নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যেত। কিন্তু সেখানেও সে কাজ হারায়। এরপর গ্রামে ফিরে সে মানসিক অবসাদের মধ্যে পড়ে যায়। সম্ভবত সেকারনেই সে আত্মহত্যা করেছে।