মা বন্দনা মল্লিক কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা সুদর্শন মল্লিক ভিন রাজ্যে কাজ করেন। দুজনেরই একটাই স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা শিখিয়ে একমাত্র মেয়ে তাপসী মল্লিককে মানুষ করার। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছিল মেয়েটি। আর বুধবার রাতে কাজ থেকে ফিরে মা দেখলেন ঘরের মধ্যে ঝুলছে তাঁদের একমাত্র মেয়ে। মায়ের চিৎকারে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাপসীকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন তাপসী। ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। গোটা ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, কেন এই চরম পথ বেছে নিলেন তিনি?
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তাপসীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে মাঝেমধ্যে তার বাড়িতেও আসত। গত মঙ্গলবারও নাকি ওই যুবক তাপসীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে এসেছিল। তাপসীর মেসোমশাইয়ের অনুমান, হয়তো সেদিন তাদের মধ্য়ে কোনও শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত তার জেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। আর তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তবে প্রতিবেশীদের একাংশে দাবি মেয়েকে মানুষ করার জন্য দুজনেই কঠিন পরিশ্রম করতেন। তাপসীও পড়াশোনা করছিল। কিন্তু কেন যে এমন চরম পথ বেছে নিল তা এখনও পরিষ্কার নয়।