বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Sukanta Majumder: ব্যাগে করে সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে এলেন বাবা, 'এটাই বাংলার বাস্তব', তোপ সুকান্তর

Sukanta Majumder: ব্যাগে করে সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে এলেন বাবা, 'এটাই বাংলার বাস্তব', তোপ সুকান্তর

এভাবেই মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরেন বাবা। সংগৃহীত ছবি 

জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জের ডাঙিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার জমজ সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন অসীম। দু'জনেরই বয়স ৫ মাস। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার টাকা ছিল না অসীমের কাছে।

অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ব্যাগের মধ্যে সন্তানের মৃতদেহ রেখে পাঁচ ঘণ্টা বাসে করে বাড়ি ফেরেন এক শোকার্ত বাবা। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলা জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য সরকারের অক্ষমতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে টুইট করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার জমজ সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এই আবহে তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করেছিলেন পেশায় দিনমজুর অসীম। দু'জনেরই বয়স ৫ মাস। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুলেন্স চালক অসীমের কাছ থেরে আট হাজার টাকা চান। তত টাকা অবশ্য ছিল না অসীমের কাছে। এই আবহে তিনি বাসে করে সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, 'এই হতদরিদ্র ব্যক্তি নিজের সন্তানের মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাননি। এই আবহে তাঁকেই তাঁর সন্তানকে বয়ে নিয়ে আসতে হয়। এই হল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা। এই ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার। দুঃখজনক হলেও পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় এটাই বাস্তব।' উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারি মাসেও এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মায়ের মৃত্যুর পরে টাকার অভাবে গাড়ি ভাড়া করতে পারেননি ছেলে। এই আবহে নিজের মায়ের মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন রামপ্রসাদ দেওয়ান। পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাকে সাহায্য করেছিল।

জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে হাতে একটি কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে সরকারি বাসে চেপে বসেন অসীম। প্রায় পাঁচ ঘণ্টায় দু'টি বাস বদলে তিনি কালিয়াগঞ্জ আসেন। শিলিগুড়ি থেকে বাসে প্রথমে রায়গঞ্জ এবং সেখান থেকে বাস বদল করে কালিয়াগঞ্জে আসেন। তখন অসীমের মনে যন্ত্রণা, আতঙ্ক মিশ্রিত এক অনুভূতি। সদ্য সন্তান হারা বাবার মনে তখন ভয়, কেউ যদি বুঝে যায় যে ব্যাগে কী আছে, তাহলে কী হবে! পরে তিনি কালিয়াগঞ্জে ফিরে এলে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, 'সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের আট হাজার টাকা চেয়েছিল। সেকারণে বাসে করেই মৃত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।' এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ডাঙিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন কালিয়াগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস।

 

বন্ধ করুন