বাজি ক্লাস্টার তৈরির নামে প্রকাশ্যে নাটক করেছে সরকার, তাই নীলগঞ্জের বিস্ফোরণে মরতে হল মানুষকে। রবিবার এক এক্স বার্তায় এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এই বেআইনি বাজি কারখানাগুলির পিছনে তৃণমূল নেতারা রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে শুভেন্দুবাবু ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘আরও একটা দিন, পশ্চিমবঙ্গে আরও একটা বিস্ফোরণ। অবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। দেহের সংখ্যা গোনার কাজ চলছে। সম্ভবত তা ১০ পার করবে। ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে তৃণমূলের ভানু বাগের বোমা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাজি শিল্পকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বড় বড় কথা বলেছিল। তারা জানিয়েছিল, এই ধরণের বেআইনি বাজি কারখানা আর থাকবে না এবং মন্ত্রিসভা সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধন্ত নিয়েছে। সেজন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।’
শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এখন মনে হচ্ছে গণরোষ প্রশমিত করতে তখন নাটক করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার পর থেকে এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তারা এবারও পদক্ষেপ করবেও না। বরং চুপচাপ বসে সংবাদমাধ্যমের তৎপরতা থামার অপেক্ষায় থাকবে। কারণ বেআইনি বাজি কারখানাগুলির সঙ্গে তৃণমূলের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। যে কোনও বিধি নিষেধ তৃণমূলের গুন্ডারা মেনে নেবে না।’
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। যেখানে সেখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হচ্ছে। পুলিশ – প্রশাসন টাকা খেয়ে চুপ করে আছে।’