কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতি পদ খোয়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় স্বস্তি পেলেও এদিন ৪ লক্ষ সদস্যের এই সমবায় ইউনিয়ন থেকে শুভেন্দুকে সরতে হল। ইউনিয়নের ১৫-র মধ্যে ১৪ জন সদস্য শুভেন্দুর অপসারণের পক্ষে সম্মতি প্রদান করেন। ২০১২ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর এই পদে ছিলেন শুভেন্দু। নিজের ক্ষমতার ফলে কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতি পদ ধরে রেখেছিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। তবে সোমবার নিজের পদ বাঁচাতে বৈঠকেও যোগ দেননি শুভেন্দু। তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সরানোর পক্ষে বাকি সকল ডিরেক্টর ভোট দেন।
গত ১৯ জুলাই শুভেন্দুর অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের ১২ জন ডিরেক্টর। দুই মহকুমার মোট ৯৫০টি সমবায় সমিতি এই ইউনিয়নের অধীনে রয়েছে। এই কো-অপারেটিভের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। সোমবার শুভেন্দুকে পদচ্যুত করতে সমবায় আইন মেনে বৈঠকে হয়। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া বাকি ১৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন সোমবার। সেখনে সবাই শুভেন্দুর অপসারণের বিষয়ে সম্মতি জানান। বৈঠক চলাকালীন একজন সদস্য ফোনের মাধ্যমে শুভেন্দুকে অপসারণ করার বিষয়ে সম্মতি জানান।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী কো-অপারেটিভের গত ৬টি বৈঠকে যোগ দেননি। পরপর কো-অপারেটিভের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দুর অপসারণের পক্ষে সকল সদস্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে কো-অপারেটিভের সকল সদস্যের দাবি, এই অপসারণের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। যদিও বিজেপির তরফে কাঁথির সভাপতি অনুপ চক্রব্রর্তীর দাবি, পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে। তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন মদতেই শুভেন্দুকে অপসারিত করা হয়েছে। এদিকে সোমবারই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় বড় জয় পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকছেন তিনিই।