আজ, শনিবার দুপুরে রানাঘাটে জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই এই জনসভার পাল্টা সভা করতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই বিষয়টি তিনি দলে জানিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি মোটামুটি একটা তারিখ ঠিকও করে ফেলেছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই সভা করতে পারে বিজেপি। তবে এখনই এই তারিখ চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভার পাল্টা সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এখানে পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই রানাঘাট বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার বেশিরভাগ আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। তবে শান্তিপুর উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে যদি ঘাসফুলের ঝড় ওঠে তাহলে পরে আর জায়গা করা যাবে না। এটা বুঝতে পেরেই পাল্টা সভা করার পথে হাঁটল বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। এখানের পুরসভা নির্বাচনেও বেশিরভাগ পুরসভা জিতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রানাঘাটের এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘শান্তিপুর উপনির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখানে দেদার ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে সাংগঠনিক জোরে আমরা তৃণমূলের সেই উদ্যোগ রুখতে চাইছি। তাই বিজেপি কর্মীদের আরও সক্রিয় করতে রানাঘাটে অভিষেকের পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
কেন এখানে পাল্টা সভার সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, এখানে একটা বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটার। সেটা অনেকটা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে গিয়েছে। তার মধ্যে চালু হয়নি সিএএ। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করে আরও ভোট টেনে নিলে সেটা বিজেপির পক্ষে বড় ক্ষতি হবে। তাই সেই ভোট ব্যাঙ্ক যাতে বেরিয়ে না যায় তাই শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভা করা হবে। শুভেন্দু নিজে সেটা চাইলেও দল সহমত পোষণ করেছে। গত নভেম্বর মাসে কৃষ্ণনগর এসে মতুয়া ভোটারদের বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভায় মতুয়া সম্প্রদায়ের সব নেতাকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।