বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > TET: শাঁখা,পলা খুলে ফেলুন, দিনহাটায় টেট দিতে এসে মহা বিড়ম্বনা, জারি ১৪৪ ধারা

TET: শাঁখা,পলা খুলে ফেলুন, দিনহাটায় টেট দিতে এসে মহা বিড়ম্বনা, জারি ১৪৪ ধারা

পূর্ব বর্ধমানের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে টেট পরীক্ষার্থীরা।(PTI Photo/Swapan Mahapatra)  (PTI)

এদিন দিনহাটায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আপাতভাবে মনে হয় যেন পঞ্চায়েত ভোটের লাইন। পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। একে একে তল্লাশি করে পরীক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।

টেট নিয়ে একেবারে তুমুল কড়াকড়ি বাংলা জুড়ে। আসলে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি পুলিশ প্রশাসন। কোচবিহারের দিনহাটায় একেবারে ১৪৪ ধারা জারি করে পরীক্ষা নেওয়া হল। সকাল থেকেই আইসি সুরজ থাপা মাইক নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন। একেবারে লাইন করে এক এক করে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। এমনকী পরীক্ষার্থীদের একাংশের শাঁখা, পলা, নাকের নথও খুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

এনিয়ে পুলিশের সঙ্গেও বচসা বেঁধে যায় পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের। একাধিক অভিভাবক দাবি করেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে শাখা পলাও খুলিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী নাকের নথও খুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কিছুতেই মানা সম্ভব নয়। শাঁখা পলার মধ্য়ে ধাতব কিছু থাকে না। তারপরেও কেন শাঁখা পলা খোলানো হল?

তবে এদিন দিনহাটায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আপাতভাবে মনে হয় যেন পঞ্চায়েত ভোটের লাইন। পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। একে একে তল্লাশি করে পরীক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এদিকে একাধিক মহিলা শাঁখা পলা পরে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তাঁদের শাঁখা পলা, কানের দুল, নাকছাবিও খুলে নিতে বলা হয়। এরপরই এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়াতে থাকে।

একাধিক অভিভাবক এনিয়ে পুলিশের কাছে দাবি তোলেন, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও এই কাণ্ড হয় না। মিঠুন দাস নামে আলিপুরদুয়ারের এক বাসিন্দা বলেন, শাঁখা, পলা, নাকের নথও খুলে নেওয়া হয়েছে আমার স্ত্রীর। এটা মানা যায় না। এতবার পুলিশকে বললাম। শুনতেই চাইল না।

তবে পুলিশের সাফ কথা , কোথাও যাতে অনিয়ম কিছু না হয় সেটা দেখা হয়েছে।

 

বন্ধ করুন