গতকাল হনুমানের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা ৮২ বছরের বৃদ্ধ কানাইলাল কুন্ডুর। সেই ঘটনার পর ঘুমপাড়ানি গুলি করে কোনওভাবে ‘অপরাধী’ হনুমানকে খাঁচা বন্দি করেছিলেন বনকর্মীরা। ‘মানুষ খুনের’ মতো গুরুতর অপরাধের দায়ে আপাতত ওই হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করে রেখেছেন বনকর্মীরা। ছেড়ে দিলেই হয়তো আবার লোকালয়ে গিয়ে উৎপাত করতে পারে ওই হনুমান, সেই ভেবে আপাতত ‘খাঁচা বন্দি’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ‘অপরাধী হনুমানকে’। ওই হনুমানকে কবে ছাড়া হবে সে বিষয়ে বনদফতরের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।
বনদফতর সূত্রে খবর, হনুমানের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারপরে হনুমানকে কবে ছাড়া হবে তা নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই হনুমানের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বৃদ্ধকে মেরে ফেলার অভিযোগই ওঠেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল হনুমান। বাড়ির ছাদে উঠে জিনিসপত্র ভাঙচুর নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাড়াতে গেলেই বাড়ির মালিককে পাল্টা তাড়া করত ওই হনুমান। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে ওই হনুমান মারধর করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, গতকাল ওই হনুমানের সঙ্গে অন্য এক হনুমানের ঝগড়া বেঁধেছিল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ৮২ বছরের বৃদ্ধ কানাইলাল। একা পেয়ে তার ওপর চড়াও হয় ওই ঘাতক হনুমান। হনুমানটি তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুসি মারার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নখ দিয়ে আঁচড়ে এবং দাঁত দিয়ে কামড়ে দেয়। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই ঘুমপাড়ানি গুলি করে হনুমানকে খাঁচা বন্দি করেন বনকর্মীরা।