মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিতে চাইছেন পুলিশ। এমনই অভিযোগ করলেন কাকদ্বীপে মৃত দশম শ্রেণির পড়ুয়ার বাবা। দিন কয়েক আগে ওই পডুয়া আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় তার স্কুলের দুই সিনিয়ারের নাম জড়ায়। থানায় অভিযোগও দায়ের করছেন মৃত পড়ুয়ার বাবা। তাঁদের অভিযোগ, হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশ কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না এই ঘটনার তদন্তে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেন মৃতে বাবা।
স্কুলের দুই সিনিয়র ওই দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনি তাকে দিয়ে পা ধরিয়ে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে। গত ১৬ জুলাই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
(পড়তে পারেন। ফের পুলিশ হেফাজতে সৌরভ চৌধুরীসহ ৩, ভালো ফল করলেই খুন করা যায় না: সরকারি আইনজীবী)
২৭ জুলাই হারউড পয়েন্ট উপকূল থানায় অভিযোগ দায়ের করে পড়ুয়ার পরিবার। কিন্তু তার পর প্রায় এক মাস হতে চলল, পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ।
ছাত্রটির বাবা জানিয়েছে, পুলিশ যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয় তবে সুন্দরবনের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন তারা। এর পরও যদি সদর্থক পদক্ষেপ না করা হয়, তবে আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বরস্থা হবে না হবেন তাঁরা।
মৃতের বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন,'তদন্তের নামে পুলিশ আমাদের হেনস্থা করছে। থানায় ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখছে। সাদা কাগজে সই করতে বলছে। আমি সই করিনি। পুলিশ ওদের বাঁচাতে চাইছে। আমি প্রয়োজনে আদালতে যাব।'