আশঙ্কাটাই সত্যি হল। আবহাওয়া দফতর আগাম জানিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে প্রভাব ফেলতে পারে ইয়াস। সেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় একেবারে তাণ্ডব চালায় ইয়াস। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় ভরা কোটালে একাধিক নদীর জলস্তর বৃদ্ধি। একেবারে সাঁড়াশি আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। একেবারে ভয়াবহ ছবি দেখা যায় হলদিয়া পুর এলাকাতেই। হলদিয়া পুর এলাকার ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন হু হু করে ঢুকতে শুরু করে হলদি নদীর জল। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথম দিকে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছিল হলদি নদীতে। কিন্তু সেই নদী যে একেবারে শহরে উঠে আসবে সেটা বুঝতে পারেননি অনেকেই। বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমে জল ছিল কোমর সমান। ক্রমে তা বুক ছুঁয়ে যায়। হলদিয়া পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে বইতে শুরু করে হলদি নদীর জল। হলদিয়া পুর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুরখালি, এরিয়াখালি মৌজা জলমগ্ন হয়ে যায় এলাকা।
এদিকে জলের চাপে মাটির বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু পাকা বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে পড়ে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়়েন দুর্গত বাসিন্দারা। হলদিয়া পুরসভার তরফে মাইকিং করা শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গায় আর্তনাদ শুরু করে দেন বাসিন্দারা। বয়স্ক ও বাচ্চারা মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যান। পুলিশ, প্রশাসনের লোকজন, পুরসভার কর্মীরা বার বার দুর্গতদের আশ্বস্ত করেন। বাসিন্দাদের দাবি, সাম্প্রতিককালে এই ধরণের ঘটনা দেখা যায়নি। জলবন্দি হয়ে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে নামেন এনডিআরএফের জওয়ানরা। দুটি বোটে করে দুর্গত মানুষদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন জওয়ানরা।