রাতে যথারীতি মন্দিরের তালাবন্ধ করে গিয়েছিলেন পুরোহিত। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ মন্দির খুলতে এসে তিনি দেখেন মন্দিরের তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এরপরই দেখা যায় মন্দিরের ভেতরে কালীমূর্তির শরীরে থাকা একের পর এক বহুমূল্য সোনা ও রূপোর অলঙ্কারের কোনো হদিশ নেই। মুর্শিদাবাদের বড়য়া থানার মোহরা কান্দি গ্রামের কালীমন্দিরে এই চুরির ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর প্রাচীনকালে এখানে মাটির কালীমূর্তি ছিল। পরবর্তী সময়ে এখানে বেনারস থেকে অষ্টধাতুর মূর্তি আনা হয়। এই দেবী মূর্তিতেই নিত্যপূজো করা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল ভয়াবহ বিপর্যয়।
বাসিন্দাদের মতে অন্যান্যদিনের মতোই গ্রামের লোকজন মায়ের পুজো দিতে মন্দিরে এসেছিলেন। তাঁরাও এসে দেখেন দেবীর মাথার মুকুট, টিকলি, নুপুর, চোখ সহ যাবতীয় অলঙ্কার চুরি হয়ে গিয়েছে। এদিকে বাসিন্দারা জানিয়েছেন বড়য়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে মন্দিরের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে থানা থেকে আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত মন্দির চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এদিকে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকলে চোরকে সনাক্ত করা সহজতর হত। তবে প্রাচীন কালীমন্দিরে এভাবে চুরির ঘটনা কোনওভাবেই বাসিন্দারা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হোক।