Threatening call: বিধায়কের নাম করে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন, আতঙ্কিত কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের মালিক

মেমারীর তারকেশ্বর রোডের পাশে অবস্থিত নিমো দু'নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। সেই কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের মালিক কিঙ্কর মৃধার অভিযোগ, সেই কাজের জন্য তাঁর কাছ থেকে বিধায়কের নাম করে দু'লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন করে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি।

মেমারী থানা। 

বিধায়কের নাম করে এক কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের মালিকের কাছ থেকে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করার অভিযোগ উঠল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের নাম করে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশন মানিকের নাম কিঙ্কর  গত ৩০ মার্চ ২ লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁকে হুমকি ফোন করা হয়। এই ঘটনায় মেমারী থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন আসে সেই নম্বর পুলিশের কাছে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এই হুমকি ফোনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সন্ধান করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মেমারীর তারকেশ্বর রোডের পাশে অবস্থিত নিমো দু'নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। সেই কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের মালিক কিঙ্কর মৃধার অভিযোগ, সেই কাজের জন্য তাঁর কাছ থেকে বিধায়কের নাম করে দু'লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন করে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। অভিযোগ, টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। কিঙ্কর মৃধা টাকা দিতে অস্বীকার করলে আবার তাঁকে ফোন করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিঙ্কর মৃধার অভিযোগ, দুটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে হুমকি ফোন আসে। সেই দুটি নম্বর তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

যদিও হুমকি ফোনের বিষয়ে জানা নেই বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হবে। অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন হুমকি ফোনের পর থেকে আতঙ্কিত রয়েছেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই এই কনস্ট্রাকশন তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা এই জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু, তারপরও কাজ বন্ধের হুমকি পাওয়ায় আতঙ্কিত কমার্শিয়াল কনস্ট্রাকশনের মালিক। এর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কিত। ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।